ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালপুরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ১ জেলে নিখোঁজ Logo নাটোরে বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর পক্ষ থেকে অসহায় শ্রমিকদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন Logo রংপুরে তিস্তা নদীতে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার Logo রাজশাহীতে ঐক্য প্রেসক্লাবের শুভ উদ্বোধন Logo নলছিটিতে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইনের পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন Logo সদরপুরে জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল Logo বাঘায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণ Logo চাকুরি দেওয়ার নামে ৪৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ Logo ফুলবাড়ীতে বিআরডিবি’র সুফলভোগী সদস্যদের নিয়ে ২ দিন ব্যাপী দক্ষতা ও উন্নয়ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন Logo খোকসা পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পুলিশের এস.আইয়ের বাড়িতে ‘ডাকাতি’: পুলিশ বলছে ‘চুরি’

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুরাদ হোসেন নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এস.আই) গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে বলে ওই পুলিশ সদস্যের পরিবারের দাবি।

তবে পুলিশের দাবি, ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে ‘চুরি’ আখ্যা দিয়ে ডাকাতির মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার (১ জুন) দুপুরে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের মা মমতাজ বেগম থানায় এজাহার নিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাকে ‘চুরি’ উল্লেখ করে মামলা করতে বলে। ‘ডাকাতি’ উল্লেখ করলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরআগে শনিবার (৩১ মে) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুরাদ হোসেন ওই গ্রামের নাজিম উদ্দিন মোল্যার ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জ থানায় এসআই পদে কর্মরত।

পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন মা মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘শনিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে দোতলা ভবনের নিচতলার পূর্ব পাশের জানালার থাইগ্লাস ভেঙে গ্রিল কেটে দুজন ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। পরে আমাকে ও আমার ছেলের বউকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। একপর্যায়ে আমার ছেলের বউয়ের দুই কানে থাকা পাঁচ আনা ওজনের সোনার কানের দুল (বাজারমূল্য ৫৫ হাজার টাকা) লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ভবনের বাইরে আরও ১০-১২ জন পাহারায় ছিল।’

ভুক্তভোগী এস.আই মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ডাকাতদল মুখোশ পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। অথচ পুলিশ ডাকাতির মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আমি ডাকাতির ঘটনার বিচার চাই, চুরির নয়।’

জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এস.আই সুজন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের রাত্রিকালীন টহলরত একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করে। ঘটনাটি ডাকাতি মনে হয়নি। চুরি হতে পারে। যে কারণে ডাকাতির অভিযোগে এজাহার নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, কমপক্ষে পাঁচজন লোক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে ডাকাতি বলা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় দুজন লোক ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করেছে। কোনো ভাঙচুর হয়নি। তেমন অস্ত্র ছিল না। তাই এটি ডাকাতি নয়, এটা চুরি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন স্যারদের জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী ডাকাতি নয়, চুরি হিসেবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ১ জেলে নিখোঁজ

error: Content is protected !!

পুলিশের এস.আইয়ের বাড়িতে ‘ডাকাতি’: পুলিশ বলছে ‘চুরি’

আপডেট টাইম : ০৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর :

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুরাদ হোসেন নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এস.আই) গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে বলে ওই পুলিশ সদস্যের পরিবারের দাবি।

তবে পুলিশের দাবি, ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে ‘চুরি’ আখ্যা দিয়ে ডাকাতির মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার (১ জুন) দুপুরে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের মা মমতাজ বেগম থানায় এজাহার নিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাকে ‘চুরি’ উল্লেখ করে মামলা করতে বলে। ‘ডাকাতি’ উল্লেখ করলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরআগে শনিবার (৩১ মে) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুরাদ হোসেন ওই গ্রামের নাজিম উদ্দিন মোল্যার ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জ থানায় এসআই পদে কর্মরত।

পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন মা মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘শনিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে দোতলা ভবনের নিচতলার পূর্ব পাশের জানালার থাইগ্লাস ভেঙে গ্রিল কেটে দুজন ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। পরে আমাকে ও আমার ছেলের বউকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। একপর্যায়ে আমার ছেলের বউয়ের দুই কানে থাকা পাঁচ আনা ওজনের সোনার কানের দুল (বাজারমূল্য ৫৫ হাজার টাকা) লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ভবনের বাইরে আরও ১০-১২ জন পাহারায় ছিল।’

ভুক্তভোগী এস.আই মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ডাকাতদল মুখোশ পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। অথচ পুলিশ ডাকাতির মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আমি ডাকাতির ঘটনার বিচার চাই, চুরির নয়।’

জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এস.আই সুজন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের রাত্রিকালীন টহলরত একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করে। ঘটনাটি ডাকাতি মনে হয়নি। চুরি হতে পারে। যে কারণে ডাকাতির অভিযোগে এজাহার নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, কমপক্ষে পাঁচজন লোক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে ডাকাতি বলা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় দুজন লোক ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করেছে। কোনো ভাঙচুর হয়নি। তেমন অস্ত্র ছিল না। তাই এটি ডাকাতি নয়, এটা চুরি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন স্যারদের জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী ডাকাতি নয়, চুরি হিসেবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।


প্রিন্ট