নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুরাদ হোসেন নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এস.আই) গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়েছে বলে ওই পুলিশ সদস্যের পরিবারের দাবি।
–
তবে পুলিশের দাবি, ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে ‘চুরি’ আখ্যা দিয়ে ডাকাতির মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পুলিশ।
–
রোববার (১ জুন) দুপুরে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের মা মমতাজ বেগম থানায় এজাহার নিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাকে ‘চুরি’ উল্লেখ করে মামলা করতে বলে। ‘ডাকাতি’ উল্লেখ করলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরআগে শনিবার (৩১ মে) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুরাদ হোসেন ওই গ্রামের নাজিম উদ্দিন মোল্যার ছেলে। তিনি গোপালগঞ্জ থানায় এসআই পদে কর্মরত।
–
পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন মা মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘শনিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে দোতলা ভবনের নিচতলার পূর্ব পাশের জানালার থাইগ্লাস ভেঙে গ্রিল কেটে দুজন ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। পরে আমাকে ও আমার ছেলের বউকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। একপর্যায়ে আমার ছেলের বউয়ের দুই কানে থাকা পাঁচ আনা ওজনের সোনার কানের দুল (বাজারমূল্য ৫৫ হাজার টাকা) লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ভবনের বাইরে আরও ১০-১২ জন পাহারায় ছিল।’
ভুক্তভোগী এস.আই মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ডাকাতদল মুখোশ পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। অথচ পুলিশ ডাকাতির মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আমি ডাকাতির ঘটনার বিচার চাই, চুরির নয়।’
–
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার এস.আই সুজন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের রাত্রিকালীন টহলরত একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করে। ঘটনাটি ডাকাতি মনে হয়নি। চুরি হতে পারে। যে কারণে ডাকাতির অভিযোগে এজাহার নেওয়া হয়নি।
–
তিনি আরও বলেন, কমপক্ষে পাঁচজন লোক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে ডাকাতি বলা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় দুজন লোক ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করেছে। কোনো ভাঙচুর হয়নি। তেমন অস্ত্র ছিল না। তাই এটি ডাকাতি নয়, এটা চুরি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন স্যারদের জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী ডাকাতি নয়, চুরি হিসেবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
প্রিন্ট