ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভার উম্মুক্ত বাজেট পেশ Logo ভেড়ামারায় প্রতিভা মডেল একাডেমী স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ ও ফল উৎসব অনুষ্ঠিত Logo মাগুরাতে বাস মোটর সাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩ Logo তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করেছিলেন জিয়াউর রহমানঃ -নার্গিস বেগম Logo দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ উন্মুক্ত করেছিলেন জিয়াউর রহমানঃ -অমিত Logo লালপুর হাসপাতালে দুইদিনে ৯০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি, সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা Logo নতুন ৬ ধরনের নোটের নকশা উন্মোচন করলো বাংলাদেশ ব্যাংক Logo বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেঃ -বিজিএমইএ সভাপতি কাজী মনির Logo তানোরে অর্কিড স্কুল এন্ড কলেজে ফল উৎসব Logo দৌলতপুরে পুষ্টি সপ্তাহ পালিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চাকরি-টাকা না পেয়ে অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আব্দুল হামিদ মিঞাঃ

চাকরি কিংবা দেওয়া টাকা না পেয়ে কারিগরি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন ভ’ক্তভুগিরা । আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার তেঁথুলিয়া-পীরগাছা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে দূর্নীতিবাজ ,টাকা আত্নসাৎকারী আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভ’ক্তভুগিরা।

শনিবার (৩১ মে) বাঘা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আড়পাড়া গ্রামের মৃত রহমান মন্ডলের ছেলে একলাসুর রহমান বলেন, অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার জন্য তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চান অধ্যক্ষ। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ২ লক্ষ টাকা দেন। একই গ্রামের মৃত চহরম প্রামানিকের ছেলে আবুল বাছেদ বাচ্চুর নৈশ প্রহরী পদে চাকরির জন্য ৫ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ৩ লক্ষ টাকা দেন। ওই গ্রামের মৃত মহরম প্রামানিকের ছেলে নাইম উদ্দীনকে ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট পদে চাকরির জন্য ৮ লক্ষ টাকা চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানান,তারা যে টাকা দিয়েছেন তার অনুকুলে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা চেক দিয়েছিলেন। পরে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে অধ্যক্ষ’র তেথুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যাংকের সেই চেকের পাতা ছিনিয়ে নেন।

স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে একলাসুর রহমান বাদি হয়ে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রাজশাহী কোর্টে মামলা দায়ের করেন। ওই সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপর মামলা তদন্তের দায়িত্ব করিয়ে নেন অধ্যক্ষ। চেয়ারম্যানের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে নিজেকে রক্ষার জন্য চার জনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ নিজে বাদি হয়ে ১০৭ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতে ভূক্তভোগীরা নির্দোষ প্রমানিত হয়।

পরে ২০২৪ সালের ২১ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভূক্তভোগীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ২ সেপ্টম্বর’২৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক শুনানির ধার্য দিনে অসুুস্থতার কথা বলে উপস্থিত না হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠান। তাতে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে ওই সময়ে দায়িত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে ভূক্তভোগীদের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের অনুরোধ করেন। ভ’ক্তভ’গিরা স্থানীয়দের কাছে দেন দরবার করলে চাকরি না দিয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছি দিব বলে, কালক্ষেপণ করেন। চাকরি প্রত্যাশিরা প্রতারিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এর বিচার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী একলাসুর রহমান, নাইম উদ্দীন, ভূক্ত ভোগী আবুল বাছেদের ভাই নিজাম উদ্দিন।

এরপর ২৭ মে রাজশাহীর আদালতে ৬ জনকে অভিভুক্ত করে অধ্যক্ষ বাদি হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় চাকরি নেওয়ার টাকা পেরত না পেয়ে ভ’ক্তভোগীরা দিশেহারা হয়ে দূর্নীতিবাজ ,টাকা আত্নসাৎকারী ।

অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বলেন, আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাংকের চেক দিয়ে তাদের কাছে টাকা নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তাদের টাকা দিয়ে চেক ফেরত নিয়েছি। জোরপূর্বক চেক নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। তবে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভার উম্মুক্ত বাজেট পেশ

error: Content is protected !!

চাকরি-টাকা না পেয়ে অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আব্দুল হামিদ মিঞাঃ

চাকরি কিংবা দেওয়া টাকা না পেয়ে কারিগরি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন ভ’ক্তভুগিরা । আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার তেঁথুলিয়া-পীরগাছা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে দূর্নীতিবাজ ,টাকা আত্নসাৎকারী আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভ’ক্তভুগিরা।

শনিবার (৩১ মে) বাঘা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আড়পাড়া গ্রামের মৃত রহমান মন্ডলের ছেলে একলাসুর রহমান বলেন, অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার জন্য তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চান অধ্যক্ষ। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ২ লক্ষ টাকা দেন। একই গ্রামের মৃত চহরম প্রামানিকের ছেলে আবুল বাছেদ বাচ্চুর নৈশ প্রহরী পদে চাকরির জন্য ৫ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ৩ লক্ষ টাকা দেন। ওই গ্রামের মৃত মহরম প্রামানিকের ছেলে নাইম উদ্দীনকে ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট পদে চাকরির জন্য ৮ লক্ষ টাকা চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানান,তারা যে টাকা দিয়েছেন তার অনুকুলে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা চেক দিয়েছিলেন। পরে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে অধ্যক্ষ’র তেথুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যাংকের সেই চেকের পাতা ছিনিয়ে নেন।

স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে একলাসুর রহমান বাদি হয়ে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রাজশাহী কোর্টে মামলা দায়ের করেন। ওই সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপর মামলা তদন্তের দায়িত্ব করিয়ে নেন অধ্যক্ষ। চেয়ারম্যানের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে নিজেকে রক্ষার জন্য চার জনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ নিজে বাদি হয়ে ১০৭ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতে ভূক্তভোগীরা নির্দোষ প্রমানিত হয়।

পরে ২০২৪ সালের ২১ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভূক্তভোগীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ২ সেপ্টম্বর’২৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক শুনানির ধার্য দিনে অসুুস্থতার কথা বলে উপস্থিত না হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠান। তাতে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে ওই সময়ে দায়িত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে ভূক্তভোগীদের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের অনুরোধ করেন। ভ’ক্তভ’গিরা স্থানীয়দের কাছে দেন দরবার করলে চাকরি না দিয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছি দিব বলে, কালক্ষেপণ করেন। চাকরি প্রত্যাশিরা প্রতারিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এর বিচার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী একলাসুর রহমান, নাইম উদ্দীন, ভূক্ত ভোগী আবুল বাছেদের ভাই নিজাম উদ্দিন।

এরপর ২৭ মে রাজশাহীর আদালতে ৬ জনকে অভিভুক্ত করে অধ্যক্ষ বাদি হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় চাকরি নেওয়ার টাকা পেরত না পেয়ে ভ’ক্তভোগীরা দিশেহারা হয়ে দূর্নীতিবাজ ,টাকা আত্নসাৎকারী ।

অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বলেন, আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাংকের চেক দিয়ে তাদের কাছে টাকা নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তাদের টাকা দিয়ে চেক ফেরত নিয়েছি। জোরপূর্বক চেক নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। তবে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।


প্রিন্ট