ঢাকা , শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

শিকারপুরে ১২ দাগের জমি নিয়ে বিরোধ

মাত্র ৯ শতক ক্রয় করেও ৩ একর ০৯৬ শতক দাবি বাহার উদ্দিনের

-ছবিঃ প্রতীকী।

এস. এম সালমান হৃদয়ঃ

‎বগুড়ার শিকারপুর মৌজার (জে.নং-৭০, খতিয়ান নং-১৭৯ ও ছিয়েস খতিয়ান নং-১৮০) দাগগুলোকে কেন্দ্র করে দাঃ মোঃ মিছু সোনার পিতা সামিরা সোনার মালিকানাধীন মোট ১২ দাগের ৩ একর ০৯৬ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে বর্তমানে ১ম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মোকদ্দমা নং–১৪৯/২০২৩ বণ্টন মামলা বিচারাধীন।

 

‎পরিবার সূত্রে জানা যায়, মিছু প্রাং উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ১২ দাগের জমিগুলোর মধ্যে দাগ নং ৮৫৭, ১৩৬০, ১৪৫৬, ১৪৮৪, ১৫২৩, ১৫২৭, ১৫২৯, ১৫৩০, ১৫৪৭, ১৭০০, ১৭৩৭ এবং ১৪৭১–৩৪১৪ মিলিয়ে মোট জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ একর ০৯৬ শতক। এর মধ্যে কিছু অংশ বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি হলেও মূল ভোগদখল ছিল মিছু প্রাং পরিবারেই।

 

‎অভিযোগ রয়েছে, এই সম্পত্তির মধ্যে দাগ নং ১৪৮৪ এর মাত্র ৯ শতক জমি বাহার উদ্দিনের নিকট বিক্রি করা হলেও তিনি নিজেকে পুরো ৩ একর ০৯৬ শতক জমির মালিক দাবি করছেন। অথচ সরকারি এমআরএ রেকর্ড অনুসারে তাঁর পিতার নাম জানিব উদ্দিন, যেখানে প্রকৃত মালিক মিছু প্রাং পরিবারের সঙ্গে কোনো উত্তরাধিকার সম্পর্ক নেই।

 

‎বাদীপক্ষের দাবি—বাহার উদ্দিন প্রকৃত ক্রয়কৃত অংশের বাইরে গিয়ে সীমালঙ্ঘন করে বড় অংশের জমি দখল ও মালিকানা দাবি করছেন, যা আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে বাদী পক্ষে মোঃ তছলিম উদ্দিন প্রাং দিং মামলা দায়ের করেন, এবং বিবাদীপক্ষের মধ্যে রয়েছেন বাহার উদ্দিন পাইকারা ও আব্দুল হামিদ ।

 

‎স্থানীয়রা জানান, মাত্র ৯ শতক জমি ক্রয় করেও পুরো ৩ একর ০৯৬ শতক সম্পত্তির মালিকানা দাবি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আদালতের সুষ্ঠু তদন্ত ও রায়ের মাধ্যমেই বিরোধের যথাযথ সমাধান হবে বলে তারা আশাবাদী। ‎মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ বাঁচাতে ধানের শীষে ভোট দিনঃ -বেগম সেলিমা রহমান

error: Content is protected !!

শিকারপুরে ১২ দাগের জমি নিয়ে বিরোধ

মাত্র ৯ শতক ক্রয় করেও ৩ একর ০৯৬ শতক দাবি বাহার উদ্দিনের

আপডেট টাইম : ১২ ঘন্টা আগে
এস. এম সালমান হৃদয়, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :

এস. এম সালমান হৃদয়ঃ

‎বগুড়ার শিকারপুর মৌজার (জে.নং-৭০, খতিয়ান নং-১৭৯ ও ছিয়েস খতিয়ান নং-১৮০) দাগগুলোকে কেন্দ্র করে দাঃ মোঃ মিছু সোনার পিতা সামিরা সোনার মালিকানাধীন মোট ১২ দাগের ৩ একর ০৯৬ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে বর্তমানে ১ম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মোকদ্দমা নং–১৪৯/২০২৩ বণ্টন মামলা বিচারাধীন।

 

‎পরিবার সূত্রে জানা যায়, মিছু প্রাং উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ১২ দাগের জমিগুলোর মধ্যে দাগ নং ৮৫৭, ১৩৬০, ১৪৫৬, ১৪৮৪, ১৫২৩, ১৫২৭, ১৫২৯, ১৫৩০, ১৫৪৭, ১৭০০, ১৭৩৭ এবং ১৪৭১–৩৪১৪ মিলিয়ে মোট জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ একর ০৯৬ শতক। এর মধ্যে কিছু অংশ বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি হলেও মূল ভোগদখল ছিল মিছু প্রাং পরিবারেই।

 

‎অভিযোগ রয়েছে, এই সম্পত্তির মধ্যে দাগ নং ১৪৮৪ এর মাত্র ৯ শতক জমি বাহার উদ্দিনের নিকট বিক্রি করা হলেও তিনি নিজেকে পুরো ৩ একর ০৯৬ শতক জমির মালিক দাবি করছেন। অথচ সরকারি এমআরএ রেকর্ড অনুসারে তাঁর পিতার নাম জানিব উদ্দিন, যেখানে প্রকৃত মালিক মিছু প্রাং পরিবারের সঙ্গে কোনো উত্তরাধিকার সম্পর্ক নেই।

 

‎বাদীপক্ষের দাবি—বাহার উদ্দিন প্রকৃত ক্রয়কৃত অংশের বাইরে গিয়ে সীমালঙ্ঘন করে বড় অংশের জমি দখল ও মালিকানা দাবি করছেন, যা আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে বাদী পক্ষে মোঃ তছলিম উদ্দিন প্রাং দিং মামলা দায়ের করেন, এবং বিবাদীপক্ষের মধ্যে রয়েছেন বাহার উদ্দিন পাইকারা ও আব্দুল হামিদ ।

 

‎স্থানীয়রা জানান, মাত্র ৯ শতক জমি ক্রয় করেও পুরো ৩ একর ০৯৬ শতক সম্পত্তির মালিকানা দাবি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আদালতের সুষ্ঠু তদন্ত ও রায়ের মাধ্যমেই বিরোধের যথাযথ সমাধান হবে বলে তারা আশাবাদী। ‎মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।


প্রিন্ট