মিজান উর রহমানঃ
বোয়ালমারী বিএনপির দুই গ্রুপে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলেছে।
ফরিদপুরের বোয়ালমারি উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, অগ্নি সংযোগ, অফিস ভাংচুর এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ওয়াপদা মোড় ও ছোলনা ইট ভাটা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি নিয়ে ওয়াপদা মোড় এলাকা থেকে ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালী) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই প্রার্থী সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু ও খোন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা শোভাযাত্রা বের করার প্রস্তুতি নেয়।
শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয় । শুরু হয় চরম উত্তেজনা। একপক্ষ অপর পক্ষকে ধাওয়া দিলে চলে পাল্টা ধাওয়া। দুই পক্ষের পাল্টা-পাল্টি আক্রমনে উভয় পক্ষের কয়েক জন আহত হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য কর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সের নিচ তলায় ঝুনু গ্রুপের বিএনপি অফিস সহ মার্কেট ও আসপাশের ১২-১৪ দোকান ভাংচুর ও ওই অফিসের সামনে থাকা ১৫ টি মোটর সাইকেলে আগুন দেয় বিএনপির নাসির গ্রুপের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। সংবাদ পেয়ে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে গেলে তাদের বাঁধা দেয়া হয়। এসময় বিএনপির ওই গ্রুপের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীতে হামলা চালায় এবং গাড়ীতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙ্গচুর করতে দেখা যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী পিছনে হটতে বাধ্য হয়।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তজনা চলছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিয়াজ করছে । যে কোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় সাতৈর বাজারে খোন্দকার নাসিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ গ্রহণ করে।
প্রিন্ট

বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা 
মিজান উর রহমান, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার 




















