ঢাকা , শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

তানোর বিএনপির রাজনীতিতে জাহাঙ্গীরকে দায়িত্বশীল পদে দেখতে চায় তৃণমুল

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে একটি অপরিহার্য নাম প্রয়াত শীষ মোহাম্মদ। তিনি তানোর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন। তার হাত ধরেই রাজনীতি আত্মপ্রকাশ করেছেন তার পুত্র তরুণ নেতৃত্ব জাহাঙ্গীর আলম।তার বাবার দেখানো পথেই তিনি এখানো রাজনীতি করে আসছেন। সামাজিক মর্যাদা,পারিবারিক ঐতিহ্যে,নেতৃত্ব গুন, আদর্শিকতা ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতা বিবেচনায় জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্ব দেয়ার মতো সকল যোগ্যতা রয়েছে। কিন্ত্ত নেতৃত্ব নির্বাচনের অশুভ প্রতিযোগীতার কারণে তাকে বার বার পিছিয়ে পড়তে হয়েছে।

 

যেখানে এখানো একই পরিবারের একাধিক সদস্য বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপের নেতার মতাদর্শী, সেখানে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সকল সদস্য বিএনপির মুলধারা ও প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন।বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে গোপণে আতাত করে অনেকে অনেক সুবিধা নিয়েছেন।কিন্ত্ত জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের একটি সদস্যরও বিরুদ্ধে কেউ এমন অভিযোগ উঙ্খাপন করতে পারবে না।

 

জানা গেছে, রাজশাহী জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও তানোর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার, নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করতে উপজেলা বিএনপি বা যুবদলের দায়িত্বশীল একটি পদে জাহাঙ্গীরকে দেখতে চাই তৃণমুল। যেখান থেকে তিনি তৃণমুলের নেতাকর্মীদের কথা বলতে পারেন। এখানো তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার তেমন কোনো জায়গা নেই। তৃণমুলের পরিক্ষিত পা-ফাটা সাধারণ নেতাকর্মীরা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না।

 

সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তারা তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না। অবহেলিত এসব নেতাকর্মীর প্রতিনিধি হিসেবে জাহাঙ্গীরকে বিএনপি বা যুবদলের একটি দায়িত্বশীল পদে দেখতে চাই তৃণমুল।বয়সে তরুণ হলেও জাহাঙ্গীর দলের একজন আদর্শিক ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব। উপজেলা বা ইউনিয়ন (ইউপি) যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। কিন্ত্ত অপ্রিয় হলেও সত্যি তার ইচ্ছে থাকার পরেও দলের দায়িত্বশীল কোনো পদে না থাকায়,তিনি এসব বঞ্চিত নেতাকর্মীদের জন্য তেমন কিছু করতে পারেন না।

 

আবার তারাও বড় নেতাদের কাছে গিয়ে তাদের বঞ্চনার কথা শোনাতে পারে না। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তৃণমুলের এসব সাধারণ নেতা ও কর্মী-সমর্থকরাই বিএনপির প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভরসাও তারাই। কিন্ত্ত তাদের সংগঠিত করার মত নেতৃত্বের এতোদিন যে অভাব ছিল এখন তিনি সেটা দুর করতে চান। তিনি বলেন,আমরা দলের স্বার্থে সকল মতপার্থক্যেকে মতানৈক্য পরিণত করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে চাই।তিনি বলেন, আমাদের মাঝে কোনো মতবিরোধ নাই, ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীতে ট্রাকসহ ১৪৮ বস্তা জিরা উদ্ধার, দুই ডাকাত গ্রেফতার

error: Content is protected !!

তানোর বিএনপির রাজনীতিতে জাহাঙ্গীরকে দায়িত্বশীল পদে দেখতে চায় তৃণমুল

আপডেট টাইম : ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে একটি অপরিহার্য নাম প্রয়াত শীষ মোহাম্মদ। তিনি তানোর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন। তার হাত ধরেই রাজনীতি আত্মপ্রকাশ করেছেন তার পুত্র তরুণ নেতৃত্ব জাহাঙ্গীর আলম।তার বাবার দেখানো পথেই তিনি এখানো রাজনীতি করে আসছেন। সামাজিক মর্যাদা,পারিবারিক ঐতিহ্যে,নেতৃত্ব গুন, আদর্শিকতা ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতা বিবেচনায় জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্ব দেয়ার মতো সকল যোগ্যতা রয়েছে। কিন্ত্ত নেতৃত্ব নির্বাচনের অশুভ প্রতিযোগীতার কারণে তাকে বার বার পিছিয়ে পড়তে হয়েছে।

 

যেখানে এখানো একই পরিবারের একাধিক সদস্য বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপের নেতার মতাদর্শী, সেখানে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সকল সদস্য বিএনপির মুলধারা ও প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন।বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে গোপণে আতাত করে অনেকে অনেক সুবিধা নিয়েছেন।কিন্ত্ত জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের একটি সদস্যরও বিরুদ্ধে কেউ এমন অভিযোগ উঙ্খাপন করতে পারবে না।

 

জানা গেছে, রাজশাহী জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও তানোর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার, নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করতে উপজেলা বিএনপি বা যুবদলের দায়িত্বশীল একটি পদে জাহাঙ্গীরকে দেখতে চাই তৃণমুল। যেখান থেকে তিনি তৃণমুলের নেতাকর্মীদের কথা বলতে পারেন। এখানো তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার তেমন কোনো জায়গা নেই। তৃণমুলের পরিক্ষিত পা-ফাটা সাধারণ নেতাকর্মীরা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না।

 

সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তারা তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না। অবহেলিত এসব নেতাকর্মীর প্রতিনিধি হিসেবে জাহাঙ্গীরকে বিএনপি বা যুবদলের একটি দায়িত্বশীল পদে দেখতে চাই তৃণমুল।বয়সে তরুণ হলেও জাহাঙ্গীর দলের একজন আদর্শিক ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব। উপজেলা বা ইউনিয়ন (ইউপি) যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। কিন্ত্ত অপ্রিয় হলেও সত্যি তার ইচ্ছে থাকার পরেও দলের দায়িত্বশীল কোনো পদে না থাকায়,তিনি এসব বঞ্চিত নেতাকর্মীদের জন্য তেমন কিছু করতে পারেন না।

 

আবার তারাও বড় নেতাদের কাছে গিয়ে তাদের বঞ্চনার কথা শোনাতে পারে না। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তৃণমুলের এসব সাধারণ নেতা ও কর্মী-সমর্থকরাই বিএনপির প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভরসাও তারাই। কিন্ত্ত তাদের সংগঠিত করার মত নেতৃত্বের এতোদিন যে অভাব ছিল এখন তিনি সেটা দুর করতে চান। তিনি বলেন,আমরা দলের স্বার্থে সকল মতপার্থক্যেকে মতানৈক্য পরিণত করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে চাই।তিনি বলেন, আমাদের মাঝে কোনো মতবিরোধ নাই, ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ।


প্রিন্ট