রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে তিন সন্তানের জনক মুদি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অর্জুনপুর-বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের বামনগ্রামের এবাদ মুন্সির ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫৫) শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে বামনগ্রাম বাজার থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় সাইফুল ইসলাম বামনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নিজ বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বা একাধিক দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
হত্যার ঘটনাটি পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
নিহত সাইফুল ইসলামের ছোট ভাই শাহিনুল ইসলাম জানান, বামনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোড়ে তিনি ২০ বছর ধরে মুদি ব্যবসা করতেন। রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির গেইটের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নিশংসভাবে হত্যা করেছে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এবি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম উদ্দিন জানান, নিহত সাইফুল ইসলাম এবি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ছবির স্বামী। তিনি একজন মুদি দোকানদার ও সৎ ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুজ্জামান দৈনিক সময়ের প্রত্যাশাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত মুদি দোকানির ছেলে শিমুল (২৮) বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছেন।
প্রিন্ট