ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

১৭ দিন পর দেশে এলো প্রবাসীর কফিনবন্দি লাশ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সৌদি আরব প্রবাসী মুনছের আলীর (৩০) কফিনবন্দি লাশ ১৬ দিন পর দেশে পৌঁছেছে। তিনি উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত রঞ্জিত আলী ছেলে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দাম্মামে হৃদক্রিয়া বন্ধ তিনি মারা যায়।

 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে লাশটি গ্রহণ করে তার পরিবার।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করে ১ বছর ৫ মাস আগে সৌদি আরবে যায় মুনছের আলী। ঋণের অধিকাংশ টাকায় সে এখনো শোধ করতে পারেনি। ঋণ শোধ করা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় তার মৃত্যুর অন্যতম কারণ মনে করছে পরিবারটি।

 

এর আগে ১৫ অক্টোবর তার স্ত্রী ফুলনা খাতুন বলেছিলেন, পরিবারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। পৌনে ১ কাঠার ওপর নির্মিত এক রুমের একচালা বাড়ি ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই। তার ওপর মাথার উপর ঋণের বোঝা। কেউ দিলে খায়, না দিলে না খেয়ে থাকি।

 

প্রতিবেশী নাহারুল ইসলাম বলেন, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি অকুল পাথারে পড়ল। তিন বেলা খাওয়ার মত অর্থটুকুও নেই।

 

মুনছেরের বৃদ্ধা মাতা মুনজেরা খাতুন আহাজারি করে বলেন, এই নাবালক এতিমদের নিয়ে আমি কী করব, কোথায় যাব, ভেবে পাচ্ছি না।

 

জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, খুব কম বয়সে ছেলেটি মারা গেল। তার পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করব।

 

ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব অসহায় পরিবারটিকে সাহায্য করব।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

১৭ দিন পর দেশে এলো প্রবাসীর কফিনবন্দি লাশ

আপডেট টাইম : ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
ইস্রাফিল হোসেন ইমন, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সৌদি আরব প্রবাসী মুনছের আলীর (৩০) কফিনবন্দি লাশ ১৬ দিন পর দেশে পৌঁছেছে। তিনি উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত রঞ্জিত আলী ছেলে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দাম্মামে হৃদক্রিয়া বন্ধ তিনি মারা যায়।

 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে লাশটি গ্রহণ করে তার পরিবার।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করে ১ বছর ৫ মাস আগে সৌদি আরবে যায় মুনছের আলী। ঋণের অধিকাংশ টাকায় সে এখনো শোধ করতে পারেনি। ঋণ শোধ করা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় তার মৃত্যুর অন্যতম কারণ মনে করছে পরিবারটি।

 

এর আগে ১৫ অক্টোবর তার স্ত্রী ফুলনা খাতুন বলেছিলেন, পরিবারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। পৌনে ১ কাঠার ওপর নির্মিত এক রুমের একচালা বাড়ি ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই। তার ওপর মাথার উপর ঋণের বোঝা। কেউ দিলে খায়, না দিলে না খেয়ে থাকি।

 

প্রতিবেশী নাহারুল ইসলাম বলেন, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি অকুল পাথারে পড়ল। তিন বেলা খাওয়ার মত অর্থটুকুও নেই।

 

মুনছেরের বৃদ্ধা মাতা মুনজেরা খাতুন আহাজারি করে বলেন, এই নাবালক এতিমদের নিয়ে আমি কী করব, কোথায় যাব, ভেবে পাচ্ছি না।

 

জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, খুব কম বয়সে ছেলেটি মারা গেল। তার পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করব।

 

ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব অসহায় পরিবারটিকে সাহায্য করব।


প্রিন্ট