ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দৌলতপুরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুট, গ্রেফতার ৭

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এ সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দুবৃর্ত্তদের হামলায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন। ১ আগস্ট, শুক্রবার উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে বোমা হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে। হামলা ও লুটের ঘটনায় আহত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলী (৭২) শুক্রবার রাতে দৌলতপুর থানায় এজাহার দিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলীর দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের সাইফুল মন্ডল (৪৫), সানোয়ার মলিথা (৩৮), রাজ্জাক মন্ডল (৩২) ও সাদ্দাম (২৮) সহ ২৫-৩০ জন দুবৃর্ত্ত দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলীকে বেধড়ক মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বাড়ি-ঘরে ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালায়।

হামলকারী দুবৃর্ত্তরা প্রতিবেশি মমেনা খাতুন, রাজেলা খাতুন, মিন্টু, আইনাল ও মনিরুল ইলামের চায়ের দোকানসহ তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে একই কায়দায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ঘণ্টাব্যাপী ভাংচুর ও লুটপাটের তাণ্ডবলীলা চালিয়ে দুবৃর্ত্তরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় এবং যাওয়ার সময় পর পর ১০-১২টি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। দুবৃর্ত্তদের হামলায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলী, রাজেলা খাতুন ও মমেনা খাতুন আহত হন।

আহতরা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় আহত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলী বাদী হয়ে স্বর্ণালংকারসহ ৩ লক্ষাধিক নগদ টাকা লুট ও প্রায় ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ এনে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানার এজাহার দিয়েছেন।

এ ঘটনায় মামলা হলে শুক্রবার রাতেই ৭ জনকে গ্রেফতার করে শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হলে ৭জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

দৌলতপুরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুট, গ্রেফতার ৭

আপডেট টাইম : ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এ সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দুবৃর্ত্তদের হামলায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন। ১ আগস্ট, শুক্রবার উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে বোমা হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে। হামলা ও লুটের ঘটনায় আহত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলী (৭২) শুক্রবার রাতে দৌলতপুর থানায় এজাহার দিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।

যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলীর দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের সাইফুল মন্ডল (৪৫), সানোয়ার মলিথা (৩৮), রাজ্জাক মন্ডল (৩২) ও সাদ্দাম (২৮) সহ ২৫-৩০ জন দুবৃর্ত্ত দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলীকে বেধড়ক মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বাড়ি-ঘরে ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালায়।

হামলকারী দুবৃর্ত্তরা প্রতিবেশি মমেনা খাতুন, রাজেলা খাতুন, মিন্টু, আইনাল ও মনিরুল ইলামের চায়ের দোকানসহ তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে একই কায়দায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ঘণ্টাব্যাপী ভাংচুর ও লুটপাটের তাণ্ডবলীলা চালিয়ে দুবৃর্ত্তরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় এবং যাওয়ার সময় পর পর ১০-১২টি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। দুবৃর্ত্তদের হামলায় যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলী, রাজেলা খাতুন ও মমেনা খাতুন আহত হন।

আহতরা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় আহত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকবর আলী বাদী হয়ে স্বর্ণালংকারসহ ৩ লক্ষাধিক নগদ টাকা লুট ও প্রায় ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ এনে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানার এজাহার দিয়েছেন।

এ ঘটনায় মামলা হলে শুক্রবার রাতেই ৭ জনকে গ্রেফতার করে শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা হলে ৭জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


প্রিন্ট