ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বে তুলে ধরতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার সরকার বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বপরিমণ্ডলে প্রতিষ্ঠিত করতে পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিকাশে জোরালো উদ্যোগ নেবে, যাতে এই নতুন প্রজন্ম তাদের সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য ভুলে না যায়।

 

ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আরেকটি উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা যেমন আর্থসামাজিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তেমনই আমাদের সাংস্কৃতিকভাবেও এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, যাতে আমাদের সংস্কৃতি বিশ্ব অঙ্গনে একটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারে।’

 

সরকারপ্রধান আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

 

তিনি জানান, তার সরকার সংস্কৃতির আরও উন্নতির জন্য প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবে আমাদের বাচ্চাদের চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বাসগুলো সর্বদা পরিবর্তিত হচ্ছে। তাদের চিন্তাধারা অনুযায়ী আমাদের সংস্কৃতিকে উন্নত করতে হবে যাতে তারা কখনই বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।’

 

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উন্নতি ও বিকাশের জন্য অতীতের মতো প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার, সে ব্যাপারে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার ইতোমধ্যে ১৮৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করেছে এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতির উন্নয়নে সাড়ে ১৪ বছরে আরও ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি অপর ৪১টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

 

কেউ যদি কোনো দেশকে ধ্বংস করতে চায়, তাহলে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ করবে-এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। কারণ, তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনেও তারা মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।

 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করার পাশাপাশি এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং এইভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’

 

প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার ২০০৯ সাল থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাহিত্য ও গবেষণামূলক কাজকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

 

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব প্রযুক্তি দ্বারা আঁকড়ে আছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম জাতিকে আধুনিক ও জ্ঞানভিত্তিক গড়ে তুলতে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে প্রযুক্তিকে যুক্ত করতে হবে।’

 

প্রধানমন্ত্রী যে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেগুলো হলো-গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য নতুন বহুতল ভবন, পুরান ঢাকা শহরের রোজ গার্ডেন, ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি এবং আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।

 

এছাড়া তিনি কপিরাইট ভবনের একটি নবনির্মিত ১২তলা ভবনও উদ্বোধন করেন।

 

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির এক অনুষ্ঠানে একটি সাংস্কৃতিক দর্শন দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, স্বাধীন জাতি হিসাবে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হলে আমাদের দেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, জাতির পিতার সাংস্কৃতিক দর্শন প্রতিষ্ঠা করা আমাদের কর্তব্য।’

 

দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। দেশব্যাপী ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও মানুষের অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।’

 

গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য একটি নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি জানান, তার সরকার আধুনিক প্রযুক্তিতে এটি নির্মাণের জন্য ৫২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ, তার সরকার অনেক আগেই প্রকল্পটি অনুমোদন করা সত্ত্বেও তারা এখনো ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি।

 

প্রধানমন্ত্রী পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, যেখানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমানে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা এমনভাবে মেরামত ও সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে এর নিজস্ব স্বকীয়তা পরিবর্তন করা না যায়। তিনি রোজ গার্ডেন বাড়ির মালিক, যার কাছ থেকে সরকার এটি কিনেছিল, তাদের কাছে থাকা কাগজপত্র এবং বাড়ির নিজস্ব স্বকীয়তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, নগর ভবনে (ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যালয়) যে ঢাকা গ্রন্থাগারটি রয়েছে, তা রোজ গার্ডেনে স্থানান্তর করা হবে।

 

শিশু গ্রন্থাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, জাপানের সহযোগিতায় তাদের নিজস্ব নকশা অনুযায়ী জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন করা হবে এবং গ্রন্থাগারে ৬ হাজার জাপানি বই দেওয়া হবে।

 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু এবং এটি আমাদের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছে।’

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

দেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বে তুলে ধরতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক রিপোর্ট :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার সরকার বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বপরিমণ্ডলে প্রতিষ্ঠিত করতে পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিকাশে জোরালো উদ্যোগ নেবে, যাতে এই নতুন প্রজন্ম তাদের সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য ভুলে না যায়।

 

ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আরেকটি উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা যেমন আর্থসামাজিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তেমনই আমাদের সাংস্কৃতিকভাবেও এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, যাতে আমাদের সংস্কৃতি বিশ্ব অঙ্গনে একটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারে।’

 

সরকারপ্রধান আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

 

তিনি জানান, তার সরকার সংস্কৃতির আরও উন্নতির জন্য প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবে আমাদের বাচ্চাদের চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বাসগুলো সর্বদা পরিবর্তিত হচ্ছে। তাদের চিন্তাধারা অনুযায়ী আমাদের সংস্কৃতিকে উন্নত করতে হবে যাতে তারা কখনই বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।’

 

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উন্নতি ও বিকাশের জন্য অতীতের মতো প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার, সে ব্যাপারে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার ইতোমধ্যে ১৮৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করেছে এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতির উন্নয়নে সাড়ে ১৪ বছরে আরও ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি অপর ৪১টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

 

কেউ যদি কোনো দেশকে ধ্বংস করতে চায়, তাহলে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ করবে-এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। কারণ, তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনেও তারা মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।

 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করার পাশাপাশি এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং এইভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’

 

প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার ২০০৯ সাল থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাহিত্য ও গবেষণামূলক কাজকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।

 

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব প্রযুক্তি দ্বারা আঁকড়ে আছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম জাতিকে আধুনিক ও জ্ঞানভিত্তিক গড়ে তুলতে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে প্রযুক্তিকে যুক্ত করতে হবে।’

 

প্রধানমন্ত্রী যে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেগুলো হলো-গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য নতুন বহুতল ভবন, পুরান ঢাকা শহরের রোজ গার্ডেন, ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি এবং আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।

 

এছাড়া তিনি কপিরাইট ভবনের একটি নবনির্মিত ১২তলা ভবনও উদ্বোধন করেন।

 

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির এক অনুষ্ঠানে একটি সাংস্কৃতিক দর্শন দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, স্বাধীন জাতি হিসাবে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হলে আমাদের দেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, জাতির পিতার সাংস্কৃতিক দর্শন প্রতিষ্ঠা করা আমাদের কর্তব্য।’

 

দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। দেশব্যাপী ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও মানুষের অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।’

 

গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য একটি নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি জানান, তার সরকার আধুনিক প্রযুক্তিতে এটি নির্মাণের জন্য ৫২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ, তার সরকার অনেক আগেই প্রকল্পটি অনুমোদন করা সত্ত্বেও তারা এখনো ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি।

 

প্রধানমন্ত্রী পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, যেখানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমানে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা এমনভাবে মেরামত ও সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে এর নিজস্ব স্বকীয়তা পরিবর্তন করা না যায়। তিনি রোজ গার্ডেন বাড়ির মালিক, যার কাছ থেকে সরকার এটি কিনেছিল, তাদের কাছে থাকা কাগজপত্র এবং বাড়ির নিজস্ব স্বকীয়তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, নগর ভবনে (ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যালয়) যে ঢাকা গ্রন্থাগারটি রয়েছে, তা রোজ গার্ডেনে স্থানান্তর করা হবে।

 

শিশু গ্রন্থাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, জাপানের সহযোগিতায় তাদের নিজস্ব নকশা অনুযায়ী জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন করা হবে এবং গ্রন্থাগারে ৬ হাজার জাপানি বই দেওয়া হবে।

 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু এবং এটি আমাদের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছে।’

 


প্রিন্ট