শান্তিরক্ষা মিশনে যে কোনো রকম যৌন হয়রানির বিষয়ে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতিমূলক সভার সমাপনীতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ অবস্থান জানানো হয়।
প্রস্তুতিমূলক সভার সমাপনীতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকা-উজ-জামান বলেন, কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ও জাতিসংঘের শান্তি মিশনে অবশ্যই লিঙ্গ সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। যৌন হয়রানি, বৈষম্য ও নিগ্রহের অভিযোগগুলোকে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানে যে কোনো অসদাচরণ সুষ্ঠ কর্মপরিবেশকে নষ্ট করে দেয়।
শান্তিরক্ষী মিশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অর্জনের কথা স্মরণ করে জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, মিশনের সব কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার। বিশ্লেষণ, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসহ সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ দরকার। মুহিত বলেন, শান্তিরক্ষী মিশনে সংখ্যা ও গুণগত দুই দিক থেকেই নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা কথা বলে আসছি। এখন নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে যেমন জোর দিতে হবে, তেমনই কমান্ডিং পর্যায়েও তাদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
সভায় জাতিসংঘের ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন পোলার্ড, জাতিসংঘ পুলিশ উপদেষ্টা, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপারেশনের মহাপরিচালক, উরুগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক মহাপরিচালক বক্তব্য দেন।
পুলিশের নৈশভোজ
সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারিসহ বিদেশি অতিথিদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছে পুলিশ। রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আয়োজন করা হয়। নৈশভোজের আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট