কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় পেট্রল ঢেলে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে রোকনুজ্জামান ওরফে রনির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তাকে আরো ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত রনি কুষ্টিয়া পৌরসভার কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হকের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল ভাড়াটিয়া অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জুলেখা খাতুন বাড়ির মালিক হামিদা খাতুনের সঙ্গে দোতলায় বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ইন্টারনেট সংযোগের পাসওয়ার্ড দেওয়া-নেয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব দ্বন্দ্বের জেরে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির মালিকের ছেলে রোকনুজ্জামান পেট্রলের আগুনে জুলেখাকে পুড়িয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মিরপুর উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান স্ত্রী হত্যার অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় আসামি রোকনুজ্জামান রনির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩ জুন কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক জাবিদ হাসান এ মামলার একমাত্র আসামি রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দুটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের সরকারি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম জানান, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলার একমাত্র আসামি রনির মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
প্রিন্ট