ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মাগুরায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ Logo দায়িত্বে অবহেলায় নবজাতের মৃত্যুর অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে Logo যশোরের কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ Logo ব্যাটারিচালিত রিক্সা ভ্যান মালিক সমিতির নেতাকর্মীদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের মতবিনিময় Logo সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ৬দিনে এলো ১২’শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ Logo নাগরপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলাম বহিষ্কার Logo নড়াইলের জমজম রেস্টুরেন্টের উপর তলার নির্মাণাধীন ভবন থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ভেড়ামারায় অগ্নিকাণ্ডে পানবরজ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে সহায়তা প্রদান Logo ফরিদপুরে বান্ধব পল্লীতে প্রভু জগৎবন্ধু সুন্দরের ‌ ১৫৪ তম শুভ আবির্ভাব ‌ উৎসব পালন Logo ৫৬১ কোটি টাকার সার আত্মসাতে সাবেক এমপি পোটন সহ পাঁচজন কারাগারে
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় ১৮০০ চক্ষুরোগীকে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে কুষ্টিয়ায় দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে ১৮০০ রোগীকে নিখরচায় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ জনকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিণায়নপুরে দোয়ারকা দাস আগারওয়ালা মহিলা কলেজে দোয়ারকা দাস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী এ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর এলাকার ষাটোর্ধ্ব আছিয়া বেগম বলেন, ছয়/সাত মাস ধরে চোখে ঝাপসা দেখি। এখন তো দূরের মানুষ দেখি কিন্তু কে তা চিনতে পারিনা। নাতি-নাতনিদের চিনতে হয় মুখের কথা শুনে। লোকে বলে ভালো ডাক্তার দিয়ে চোখ দেখাতে, তবে টাকা কোথায় পাবো? বড় ডাক্তারকে চোখ দেখাতে সে মেলা টাকা লাগে। গরিব মানুষ ঢাকায় গিয়ে চোখ দেখাবো এমনটা স্বপ্নেও আসে না।

গ্রামের ডাক্তারদের কাছ থেকে ড্রপ কিনি চোখে দেই, একটু ভালো দেখি আবার আগের মতো হয়ে যায়। ভেবেই নিয়েছিলাম যে এভাবেই দিন কাটাতে হবে। পরিষ্কার কিছু আর হয়তো দেখা হবে না। কারণ দুনিয়া দেখার সম্বলই চোখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুনেছি এই কলেজে নাকি ঢাকা থেকে বড় ডাক্তাররা আসবে তাই সকাল থেকে এসেছি এখানে চোখ দেখাবো। টাকা নেয় না, আবার অপারেশনও নাকি এমনি করে দেয়।

আছিয়া বেগম বলেন, চোখের ডাক্তাররা মেলা টাকা নেয়। কিন্তু এখানে ফ্রি চোখ দেখে, ওষুধ দেয়, চশমা লাগলে চশমা দেয়, অপারেশনও করে দেয় তাই এখানে এসেছি।

দিনব্যাপী এ চক্ষু ক্যাম্পে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ফ্যাকো অ্যান্ড রেটিনা স্পেশালিস্ট প্রফেসর ডা. মো. সালেক আহমেদের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম চিকিৎসাসেবা দেন। এর মধ্যে ছিলেন ডা. মুত্তাকিন মনির, ডা. জেরিন পারভীন, ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি। এছাড়াও ৪জন অপট্রোমিটেক ও ৬জন মেডিকেল সাপোর্ট।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ফ্যাকো অ্যান্ড রেটিনা স্পেশালিস্ট প্রফেসর ডা. মো. সালেক আহমেদ বলেন, এ চক্ষু ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা চক্ষু রোগীদের নিখরচায় ব্যবস্থাপনা, চশমা ও ওষুধ দিয়েছি। সেই সঙ্গে যেসব রোগীদের চোখ অপারেশন করা প্রয়োজন তাদের নির্বাচন করেছি।

দিনব্যাপী চলা এ ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন দোয়ারকা দাস আগারওয়ালা মহিলা কলেজের ১২০জন শিক্ষার্থীসহ দোয়ারকা দাস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

মাগুরায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় ১৮০০ চক্ষুরোগীকে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

আপডেট টাইম : ১১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে কুষ্টিয়ায় দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে ১৮০০ রোগীকে নিখরচায় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ জনকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিণায়নপুরে দোয়ারকা দাস আগারওয়ালা মহিলা কলেজে দোয়ারকা দাস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী এ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর এলাকার ষাটোর্ধ্ব আছিয়া বেগম বলেন, ছয়/সাত মাস ধরে চোখে ঝাপসা দেখি। এখন তো দূরের মানুষ দেখি কিন্তু কে তা চিনতে পারিনা। নাতি-নাতনিদের চিনতে হয় মুখের কথা শুনে। লোকে বলে ভালো ডাক্তার দিয়ে চোখ দেখাতে, তবে টাকা কোথায় পাবো? বড় ডাক্তারকে চোখ দেখাতে সে মেলা টাকা লাগে। গরিব মানুষ ঢাকায় গিয়ে চোখ দেখাবো এমনটা স্বপ্নেও আসে না।

গ্রামের ডাক্তারদের কাছ থেকে ড্রপ কিনি চোখে দেই, একটু ভালো দেখি আবার আগের মতো হয়ে যায়। ভেবেই নিয়েছিলাম যে এভাবেই দিন কাটাতে হবে। পরিষ্কার কিছু আর হয়তো দেখা হবে না। কারণ দুনিয়া দেখার সম্বলই চোখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুনেছি এই কলেজে নাকি ঢাকা থেকে বড় ডাক্তাররা আসবে তাই সকাল থেকে এসেছি এখানে চোখ দেখাবো। টাকা নেয় না, আবার অপারেশনও নাকি এমনি করে দেয়।

আছিয়া বেগম বলেন, চোখের ডাক্তাররা মেলা টাকা নেয়। কিন্তু এখানে ফ্রি চোখ দেখে, ওষুধ দেয়, চশমা লাগলে চশমা দেয়, অপারেশনও করে দেয় তাই এখানে এসেছি।

দিনব্যাপী এ চক্ষু ক্যাম্পে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ফ্যাকো অ্যান্ড রেটিনা স্পেশালিস্ট প্রফেসর ডা. মো. সালেক আহমেদের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম চিকিৎসাসেবা দেন। এর মধ্যে ছিলেন ডা. মুত্তাকিন মনির, ডা. জেরিন পারভীন, ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি। এছাড়াও ৪জন অপট্রোমিটেক ও ৬জন মেডিকেল সাপোর্ট।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ফ্যাকো অ্যান্ড রেটিনা স্পেশালিস্ট প্রফেসর ডা. মো. সালেক আহমেদ বলেন, এ চক্ষু ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা চক্ষু রোগীদের নিখরচায় ব্যবস্থাপনা, চশমা ও ওষুধ দিয়েছি। সেই সঙ্গে যেসব রোগীদের চোখ অপারেশন করা প্রয়োজন তাদের নির্বাচন করেছি।

দিনব্যাপী চলা এ ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন দোয়ারকা দাস আগারওয়ালা মহিলা কলেজের ১২০জন শিক্ষার্থীসহ দোয়ারকা দাস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা।