ব্যাংক থেকে গ্রাহকের টাকা চুরির ঘটনার প্রায় দুই মাস পর চোরের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ চোরকে সনাক্ত ও আটক করতে সক্ষম হয়েছে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা পুলিশের একটি দল সোমবার (১৪.০৩.২০২২) ভোর রাতে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা থেকে অভিযুক্তকে আটক করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে গতকাল মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখার হিসাব থেকে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি এক লাখ টাকা তোলেন গ্রাহক রাশিদা বেগম। উপজেলার গুণবহা ইউনিয়নের বাগুয়ান গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার স্ত্রী রাশিদা।
ব্যাংক থেকে টাকা তোলার পরপরই অপরিচিত এক পুরুষ লোক রাশিদাকে টাকা গুলো গুনে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এতে রাজি হলে অপরিচিত ওই ব্যক্তি টাকা গণনার ফাঁকে বান্ডিলে থাকা একটি পাঁচশ টাকার ছেঁড়া নোট রাশিদাকে ধরিয়ে দিয়ে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে পাল্টে আনতে বলেন। রাশিদা ছেঁড়া টাকা পাল্টাতে ব্যাংকের কাউন্টারে গেলে বাকি টাকা নিয়ে চম্পট দেন অপরিচিত ওই ব্যক্তি। এ সময় ঘটনাস্থলে চোরের ফেলে যাওয়া একটি মোবাইল ফোন পেয়ে তা থানা পুলিশের হাতে জমা দেন ভুক্তভোগী গ্রাহক রাশিদা বেগম। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ঘটনার শিকার গ্রাহক বাদি হয়ে থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক মো. ওহিদুল ইসলাম জানান, মামলা তদন্তকালে ব্যাংকের ভেতরে চোরের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও ব্যাংকের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোরকে সনাক্ত করা হয়।
ঘটনার প্রায় দুই মাস পর মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট পৌরসভার শারমঙ্গল মহল্লা থেকে মো. মাইন উদ্দিনকে (৫৫) ব্যাংক থেকে গ্রাহকের এক লাখ টাকা চুরির ঘটনায় আটক করা হয়। মাইন উদ্দিন শারমঙ্গল মহল্লার মো. আমান উদ্দিনের ছেলে। আটক মাইন উদ্দিন পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী। মাইন উদ্দিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া এক লাখ টাকার মধ্যে ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে আদালতে আসামিসহ জমা দেওয়া হয়েছে।