আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পাংশার কসবামাজাইল ইউপিতে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রাকিব বিশ্বাস। তৃণমূলের আস্থা নিয়েই দিন-রাত এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে মটর শোভাযাত্রা, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে জনবান্ধব নেতা হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছেন রাকিব বিশ্বাস।

নির্বাচনী গণসংযোগ, সাংগঠনিক সভা-সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানসহ এলাকায় সামাজিক নানা সমস্যা সমাধানে তার আন্তরিক সহযোগিতার কারণে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আসন্ন ইউপি নির্বাচনে রাকিব বিশ্বাসকে কসবামাজাইল ইউনিয়নে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।

এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন, কসবামাজাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব জর্জ আলী বিশ্বাস ও সামসেল জোয়ার্দ্দারের মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, যে সমস্ত ত্যাগী নেতাকর্মী দলকে সজীব রেখেছেন, যারা দুর্দিনে দলের জন্য নিবেদীতপ্রাণ তাদেরকে যথাযথ সম্মান দেওয়া উচিত।

হাবিবুর রহমান বিশ্বাস আরও বলেন, চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর কসবামাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক সভায় আমরা আসন্ন কসবামাজাইল ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতার জন্য রাকিবুল বিশ্বাসকে সমর্থন প্রদান করি। ওইদিন দলের বর্ধিতসভায় রাকিব বিশ্বাসকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কসবামাজাইলের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বাস পরিবারের তরুণ সমাজসেবী রাকিবুল ইসলাম। তার পিতা মরহুম মশিয়ার রহমান (মাখন বিশ্বাস) একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ ছিলেন।

রাকিবুল বিশ্বাসের চাচা মরহুম ডাঃ ইব্রাহিম বিশ্বাস ও চাচাতো ভাই মরহুম জিয়াউর রহমান (ফটিক চেয়ারম্যান) বৃটিল আমল থেকে দীর্ঘদিন কসবামাজাইল ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। দীর্য ৩০ বছর কসবামাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন তিনি। তাদের সুনাম সর্বজনবিদিত। আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন, রাকিব বিশ্বাসের পরিবার আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গঠনে রাকিব বিশ্বাসের অবদান আছে। তার সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে।

রাকিব বিশ্বাসের নেতৃত্বে গত ১৬ অক্টোবর রাজবাড়ী শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর সমর্থনে কসবামাজাইল থেকে মোটরসাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে সম্মেলনে যোগদান এছাড়া ১২ নভেম্বর কসবামাজাইল ইউনিয়ন থেকে শরিষা ইউপির বহলাডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে বিশাল শোডাউন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম এমপির জনসভায় যোগদান রাজনৈতিক সচেতন মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

ব্যক্তিগত, সামাজিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বিবেচনায় রাকিব বিশ্বাসকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে নির্বাচন করে তার বিজয় সুনিশ্চিত করবে ইনশাল্লাহ। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে আসন্ন কসবামাজাইল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী রাকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম এমপির নেতৃত্বে কসবামাজাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদারকরণে সভা-সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে তাদের পাশে আছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করা আমার পারিবারিক শিক্ষা। সেই শিক্ষা থেকেই দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য আমার দরজা সর্বদাই খোলা রয়েছে। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন দলীয় নেতাকর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাব।

তিনি বলেন, কসবামাজাইল একটি বর্ধিষ্ণু এলাকা। অত্র এলাকায় অনেক গুণীমানুষের জন্ম হয়েছে। তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জণ করে কসবামাজাইল ইউনিয়নকে সমৃদ্ধ করেছেন। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন এবং জনকল্যাণমূলক কাজের অতীত ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে কসবামাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সংগঠনে রূপদান করা এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমান যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রেখে তাদের কর্মমুখীকরণ এবং তাদেরকে খেলাধুলায় অনুপ্রেরণা দিয়ে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করা। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে রাকিব বিশ্বাস বলেন, তৃণমূলের জনপ্রিয়তা বিবেচনায় মনোনয়নের ক্ষেত্রে শতভাগ আস্থা আছে। সেই আস্থা ও মনোবল নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।