ঢাকা , মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চাটমোহরের ফৈলজানা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ একাট্টা

হাফিজকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা

“নৌকা নয়,ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমরা” এ শ্লোগানে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নে জনতার ঐক্য মঞ্চ গঠণ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ। মঙ্গলবার (২৬ অক্টেবর) তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের দপ্তর থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।
গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ফৈলজানা ইউনিয়নের হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় হাফিজুর রহমানকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৯জন নেতাসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ গ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে একাট্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ সালামের আহবানে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ওমর আলী।
বক্তব্য রাখেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ আঃ সালাম,আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ হায়াতুজ্জামান হায়াত,এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ,মোঃ জামান মাসুদ, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলম সোনা,আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ সাইদুর রহমান,মোঃ আক্কাস আলী মোল্লা, প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজান, আঃ হামিদ সরদার, হাবিবুর রহমান হাবিব, আঃ সালাম মোল্লা,ছাত্রনেতা হাবিব, আওয়ামী লীগের
মনোনয়ন প্রত্যাশী জয়নাল আবেদীন ভুইয়াসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি,সম্পাদকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন,ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে জনতার ঐক্য মঞ্চ গঠণ করা হয়েছে। আমরা নৌকার বিপক্ষে নই,আমরা ব্যক্তি হানিফ চেয়ারম্যানের বিপক্ষে। ২০১২ সালে জামাত থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী এই ব্যক্তি মনোনয়ন পেয়েছেন। বিগত দিনে সে দলীয় নেতা-কর্মীকে মূল্যায়ন করেননি।
বিএনপি-জামাতকে মূল্যায়ন করেছেন। জনবিচ্ছিন্ন ও কর্মী বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে ফৈলজানা ইউনিয়নবাসী গ্রহণ করবেন না। সভায় ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা,ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয় এবং জনতার ঐক্য মঞ্চঘোষনা করে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য ৯জন মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ সকল নেতা- কর্মী প্রতিশ্রুতি দেন।
এ ব্যাপারে হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন,আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আর সমর্থকদের অনুরোধে এবং ফৈলজানা আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে আমাকে প্রার্থী করা হয়েছে। আমি নৌকার বিপক্ষে নই,তবে ব্যক্তি হানিফের বিপক্ষে।এ বিষয়ে ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান ও আগামী ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মোঃ হানিফ উদ্দিন বলেন,ওরা আমার বিপক্ষে নয়,নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা দিয়েছেন।
বিগত নির্বাচনেও আমি নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলাম। তিনি বলেন,আমি কখনও জামাত-বিএনপির সাথে ছিলাম না। ১৯৭১ সালে আমাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। আমি সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা। ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা আমার সাথে রয়েছেন। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নৌকার বিজয় ঠেকাতেই হাফিজ গংয়ের এই অপপ্রচার ও অপচেষ্টা। আমি সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনা হানিফ উদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছেন এবং পাবনা-৩ আসনের এমপি মোঃ মকবুল হোসেন গত সোমবার তার হাতে মনোনয়নপত্র ও নৌকা তুলে দিয়েছেন। সুতরাং তার বিপক্ষে যাওয়া মানে নৌকার বিপক্ষে যাওয়া.শেখ হাসিনার বিপক্ষে যাওয়া। কেউ এ স্পর্ধা দেখালে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

চাটমোহরের ফৈলজানা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ একাট্টা

হাফিজকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষনা

আপডেট টাইম : ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
“নৌকা নয়,ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমরা” এ শ্লোগানে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নে জনতার ঐক্য মঞ্চ গঠণ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ। মঙ্গলবার (২৬ অক্টেবর) তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং অফিসারের দপ্তর থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন।
গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ফৈলজানা ইউনিয়নের হিড়িন্দা দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় হাফিজুর রহমানকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৯জন নেতাসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ গ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে একাট্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ সালামের আহবানে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ওমর আলী।
বক্তব্য রাখেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ আঃ সালাম,আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ হায়াতুজ্জামান হায়াত,এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ,মোঃ জামান মাসুদ, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলম সোনা,আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ সাইদুর রহমান,মোঃ আক্কাস আলী মোল্লা, প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজান, আঃ হামিদ সরদার, হাবিবুর রহমান হাবিব, আঃ সালাম মোল্লা,ছাত্রনেতা হাবিব, আওয়ামী লীগের
মনোনয়ন প্রত্যাশী জয়নাল আবেদীন ভুইয়াসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি,সম্পাদকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন,ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে জনতার ঐক্য মঞ্চ গঠণ করা হয়েছে। আমরা নৌকার বিপক্ষে নই,আমরা ব্যক্তি হানিফ চেয়ারম্যানের বিপক্ষে। ২০১২ সালে জামাত থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী এই ব্যক্তি মনোনয়ন পেয়েছেন। বিগত দিনে সে দলীয় নেতা-কর্মীকে মূল্যায়ন করেননি।
বিএনপি-জামাতকে মূল্যায়ন করেছেন। জনবিচ্ছিন্ন ও কর্মী বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে ফৈলজানা ইউনিয়নবাসী গ্রহণ করবেন না। সভায় ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা,ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয় এবং জনতার ঐক্য মঞ্চঘোষনা করে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য ৯জন মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ সকল নেতা- কর্মী প্রতিশ্রুতি দেন।
এ ব্যাপারে হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন,আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আর সমর্থকদের অনুরোধে এবং ফৈলজানা আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে আমাকে প্রার্থী করা হয়েছে। আমি নৌকার বিপক্ষে নই,তবে ব্যক্তি হানিফের বিপক্ষে।এ বিষয়ে ফৈলজানা ইউপি চেয়ারম্যান ও আগামী ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মোঃ হানিফ উদ্দিন বলেন,ওরা আমার বিপক্ষে নয়,নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা দিয়েছেন।
বিগত নির্বাচনেও আমি নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলাম। তিনি বলেন,আমি কখনও জামাত-বিএনপির সাথে ছিলাম না। ১৯৭১ সালে আমাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। আমি সহযোগি মুক্তিযোদ্ধা। ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা আমার সাথে রয়েছেন। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নৌকার বিজয় ঠেকাতেই হাফিজ গংয়ের এই অপপ্রচার ও অপচেষ্টা। আমি সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনা হানিফ উদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছেন এবং পাবনা-৩ আসনের এমপি মোঃ মকবুল হোসেন গত সোমবার তার হাতে মনোনয়নপত্র ও নৌকা তুলে দিয়েছেন। সুতরাং তার বিপক্ষে যাওয়া মানে নৌকার বিপক্ষে যাওয়া.শেখ হাসিনার বিপক্ষে যাওয়া। কেউ এ স্পর্ধা দেখালে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।