আব্দুল জব্বার ফারুকঃ
বন্যার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে খাল বিল নদ নদীতে দেশিও বিভিন্ন প্রাজাতির মাছের দেখা মিলেছে। মাছ ধরতে প্রয়োজন হয় বাঁশের তৈরি খোলশান, পুঠা,চাঁই,ঘুণি,দোয়ার।চিংড়ি সহ ছোট মাছ ধরতে খোলশানের চাহিদা ব্যাপক। এ শিল্পকে কুটির শিল্পের সঙ্গে তুলনা করে হস্তশিল্প কারিগররা। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহি আহসানগঞ্জ, বান্দাইখারা সমশপাড়া বাজারে জমজমাট হয়েছে খলশানও চায়ের বজার।
–
প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে চলছে এই এলাকার বাজার গুলোতে খোলশানের বেচা কেনা চলে আসছে। সপ্তাহে বৃহস্পতিও শুক্রবার হাটে হাজার হাজার মাছ ধরার খোলশান খুচরা ও পাইকারি বিক্রি হয়।গত বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দেখা যায় নওগাঁর নিম্নাঞ্চল আত্রাই, সমশপারা,কাশিয়াবাড়ি,কালিকাপুর, নাটোরের নলডাঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট মাছ ধরার এ ফাদ কিনতে এসেছেন পাইকারি ব্যাবসায়ি ও জেলেরা। আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক পরিবার খোলশান,চাঁয় ও দুয়ারী তৈরি করে জীবীকা নির্বাহ করছে।
–
চৈত্র মাস থেকে কারিগররা এ ফাদ তৈরির জন্য প্রস্তুতি নেন। বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে তারা বছরের ছয় মাস তারা এসব মাছ ধরার ফাদ তৈরির কাজে ব্যাস্হ সময় পার করেন। বিভিন্ন জাতের বাঁশ দিয়ে এ ফাদ তৈরি করে তারা। একটি বাঁশ দিয়ে ১৫-২০ টি খোলশান তৈরি করা যায়। একজন শ্রমিক একদিনে পাঁচ থেকে দশটি এবং প্রাকার ভেদে কম বেশি খোলশান তৈরি করতে পারে। বাজারে মান ভেদে কুড়িটি খোলশান দুই থেকে আরাই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
–
এসব ফাদ তৈরির প্রতিটি বাঁশ ৩৫০-৪০০টাকায় কেনা হয়ে থাকে।প্রতি পিস খোলশানের দাম২৫০-২২৭০ টাকা শাহাগোলা ইউনিয়নের সুবর্ণকুন্ড গ্রামের নিরানজন ও শুকুমার বলেন এসব খোলশান আমাদের কাছে থেকে পাইকাররা কিনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য পাঠান।এবছর খোলশানের বাজার দর আন্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় লাভের আশা করা যাচ্ছে।
প্রিন্ট