ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

কুষ্টিয়া-২ আসনঃ অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী করার দাবিতে মহাসড়কে মহিলাদের মানববন্ধন

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা। তাঁরা শহীদুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।

 

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী থেকে বহলবাড়ীয়া সেন্টার পর্যন্ত কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটারে অন্তত ৩টি স্থানে মানববন্ধন হয়েছে। একপর্যায়ে শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা মনোনয়ন পুন:বিবেচনা করে স্লোগান দিতে দিতে মহাসড়কে মানববন্ধন ও রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে মিরপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার হাজার হাজার মহিলারা ছাড়াও এলাকার সাধারণ জনগণ হাতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।

 

৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাগীব রউফ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দুই উপজেলায় শহীদুল ইসলামের হাজারো সমর্থক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

 

রোববার বেলা তিনটার দিকে মিরপুর ও ভেড়ামারার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজারো নারী ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বহলবাড়ীয়া ও তালবাড়ীয়া এলাকায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। মহিলাদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় গোটা পরিবেশ। মানববন্ধন কর্মসূচি কুষ্টিয়া সদরের শেষ প্রান্ত ত্রিমোহনী এলাকা থেকে মিরপুর বহলবাড়িয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

 

এ সময় ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম (আলম) মালিথা বলেন, ‘আমরা সবাই বিএনপি পরিবারের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি করে আসছি। ধানের শীষের ভোট করব। আমরা ধানের শীষকে বিজয়ী করে সংসদে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু এখানে যাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো নেতা-কর্মীর সম্পর্ক নেই। তিনি কোন ভাবেই বিএনপি’র দক্ষ রাজনৈতিক নেতা নন। তিনি জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতা। তাঁকে দিয়ে এই আসনে ধানের শীষের বিজয় আনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

 

মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফুজ্জামান শাহিন বলেন, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত এই আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে সাবেক সাংসদ অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে মনোনয়ন দিতে হবে। ঘোষিত মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা না করলে আসনটি জামায়াতের দখলে চলে যাবে। তাই দ্রুত মনোনয়ন পরিবর্তন করে কুষ্টিয়া-২ আসনে অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের নাম ফাইনাল প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

 

মিরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান বলেন, ‘এই আসনে যাঁকে সম্ভাব্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার সাথে এলাকার মানুষের তেমন কোন যোগাযোগ নেই। বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁকে আমরা কখনও মাঠে পাইনি। আমরা মাঠে থেকে আন্দোলন করেছি, জেল খেটেছি, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি।’ অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে মনোনয়ন দিলে তিনি ব্যাপক ভোটে নির্বাচিত হবে। তাই তাকে মনোনয়ন দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।

 

মানববন্ধনে অংশ নেয়া উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক সাজেদা খাতুন বলেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নির্ধারণে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। তাই অনতিবিলম্বে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে জনগণের নেতা উন্নয়নের রুপকার মাটি ও মানুষের নেতা অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। মিরপুর ভেড়ামারার জনগণ এই মানববন্ধনের মাধ্যমে ঘোষিত বিএনপির প্রার্থীকে ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে। ঘোষিত প্রার্থিতা বাতিল করে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের নাম ঘোষনা না করলে পরবর্তীতে আমরা আরো কর্মসূচি গ্রহণ করবো।

 

মানববন্ধনে উপস্থিত মহিলারা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট-ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে শহীদুল ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। তিনি এমপি থাকাকালে দুই উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি এরাকার প্রায় মানুষকেই চিনেন। আমরাও তাকে চিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম মাঠে ছিলেন। আমরা তার মত নেতাকে এমপি হিসাবে দেখতে চাই। আর যাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে নাম প্রকাম করা হয়েছে এলাকায় তার সাংগঠনিক উপস্থিতি নেই, তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থান করেন এবং মিরপুর-ভেড়ামারার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে আমরা কখনো দেখতে পাই না। বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামেও তাঁর ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেন তাঁরা। বক্তারা আরও বলেন, এই মনোনয়ন বহাল থাকলে আসনটি জামায়াতের দখলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

পৌর বিএনপির সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ঘোষণায় দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের একটাই দাবি, ঘোষিত প্রার্থী পরিবর্তন করে সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হোক। অন্যথায় এই আসনে বিএনপিকে বিজয়ী করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ সময় উপজেলা হাজার হাজার মহিলা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদ্রাসায় কর্মচারি নিয়োগে অধ্যক্ষের জালিয়াতির অভিযোগ

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়া-২ আসনঃ অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী করার দাবিতে মহাসড়কে মহিলাদের মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ২০ ঘন্টা আগে
ইসমাইল হোসেন বাবু, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা। তাঁরা শহীদুল ইসলামকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।

 

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী থেকে বহলবাড়ীয়া সেন্টার পর্যন্ত কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটারে অন্তত ৩টি স্থানে মানববন্ধন হয়েছে। একপর্যায়ে শহীদুল ইসলামের সমর্থকেরা মনোনয়ন পুন:বিবেচনা করে স্লোগান দিতে দিতে মহাসড়কে মানববন্ধন ও রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে মিরপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার হাজার হাজার মহিলারা ছাড়াও এলাকার সাধারণ জনগণ হাতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।

 

৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাগীব রউফ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দুই উপজেলায় শহীদুল ইসলামের হাজারো সমর্থক আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

 

রোববার বেলা তিনটার দিকে মিরপুর ও ভেড়ামারার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজারো নারী ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বহলবাড়ীয়া ও তালবাড়ীয়া এলাকায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। মহিলাদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় গোটা পরিবেশ। মানববন্ধন কর্মসূচি কুষ্টিয়া সদরের শেষ প্রান্ত ত্রিমোহনী এলাকা থেকে মিরপুর বহলবাড়িয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

 

এ সময় ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম (আলম) মালিথা বলেন, ‘আমরা সবাই বিএনপি পরিবারের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি করে আসছি। ধানের শীষের ভোট করব। আমরা ধানের শীষকে বিজয়ী করে সংসদে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু এখানে যাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো নেতা-কর্মীর সম্পর্ক নেই। তিনি কোন ভাবেই বিএনপি’র দক্ষ রাজনৈতিক নেতা নন। তিনি জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতা। তাঁকে দিয়ে এই আসনে ধানের শীষের বিজয় আনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

 

মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফুজ্জামান শাহিন বলেন, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত এই আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে সাবেক সাংসদ অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে মনোনয়ন দিতে হবে। ঘোষিত মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা না করলে আসনটি জামায়াতের দখলে চলে যাবে। তাই দ্রুত মনোনয়ন পরিবর্তন করে কুষ্টিয়া-২ আসনে অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের নাম ফাইনাল প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

 

মিরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান বলেন, ‘এই আসনে যাঁকে সম্ভাব্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার সাথে এলাকার মানুষের তেমন কোন যোগাযোগ নেই। বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁকে আমরা কখনও মাঠে পাইনি। আমরা মাঠে থেকে আন্দোলন করেছি, জেল খেটেছি, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি।’ অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে মনোনয়ন দিলে তিনি ব্যাপক ভোটে নির্বাচিত হবে। তাই তাকে মনোনয়ন দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।

 

মানববন্ধনে অংশ নেয়া উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক সাজেদা খাতুন বলেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নির্ধারণে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। তাই অনতিবিলম্বে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে জনগণের নেতা উন্নয়নের রুপকার মাটি ও মানুষের নেতা অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। মিরপুর ভেড়ামারার জনগণ এই মানববন্ধনের মাধ্যমে ঘোষিত বিএনপির প্রার্থীকে ইতিমধ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে। ঘোষিত প্রার্থিতা বাতিল করে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের নাম ঘোষনা না করলে পরবর্তীতে আমরা আরো কর্মসূচি গ্রহণ করবো।

 

মানববন্ধনে উপস্থিত মহিলারা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট-ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে শহীদুল ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। তিনি এমপি থাকাকালে দুই উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি এরাকার প্রায় মানুষকেই চিনেন। আমরাও তাকে চিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম মাঠে ছিলেন। আমরা তার মত নেতাকে এমপি হিসাবে দেখতে চাই। আর যাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে নাম প্রকাম করা হয়েছে এলাকায় তার সাংগঠনিক উপস্থিতি নেই, তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থান করেন এবং মিরপুর-ভেড়ামারার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে আমরা কখনো দেখতে পাই না। বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামেও তাঁর ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেন তাঁরা। বক্তারা আরও বলেন, এই মনোনয়ন বহাল থাকলে আসনটি জামায়াতের দখলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

পৌর বিএনপির সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ঘোষণায় দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের একটাই দাবি, ঘোষিত প্রার্থী পরিবর্তন করে সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হোক। অন্যথায় এই আসনে বিএনপিকে বিজয়ী করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ সময় উপজেলা হাজার হাজার মহিলা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট