ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ

মোঃ জিয়াউর রহমানঃ

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এস. এস. সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জেরে স্থানীয়রা এক নারীসহ তাকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এস. এস. সোহরাব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকায় স্থানীয় বলয় তৈরি করেন। সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে দাখিলা কিংবা নামজারি নামে নিয়মিত অনৈতিক সুবিধা দাবি করতেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, পর্যাপ্ত টাকা না দিলে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নামজারির আবেদন বাতিল করতেন।

 

এছাড়া, এক নারী সেবাগ্রহীতার সঙ্গে তিনি অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ উঠে। গত বৃহস্পতিবার ওই নারীকে অফিসে ডেকে নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলে এবং অফিসে আটকে রাখে। পরে সন্ধ্যার দিকে এক লক্ষ টাকা দেনদরবারে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এত কিছুর পরও যদি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা তাকে আইনের হাতে তুলে দেব।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, দুই মাস আগে একটি নামজারি তিনবার আবেদন করলে তিনি সেটি বাতিল হয়। পরে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন সোহরাব হোসেন। টাকা দেওয়ার পরেই নামজারিটি সম্পন্ন হয়। অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তা এস. এস. সোহরাব হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

অফিস সহায়ক জিয়াউর রহমান ও কম্পিউটার অপারেটর সাহাবুল হক বলেন, স্থানীয়রা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। তখন আমরা কেউ অফিসে উপস্থিত ছিলাম না। কেন অবরুদ্ধ রেখেছিলেন তা আমরা জানি না।

 

এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ কুমার দাস অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তাকে ভেড়ামারা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এক লক্ষ টাকার বিষয়টি জানিনা।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, অনৈতিক কাজের অভিযোগে স্থানীয়রা তাকে অবরুদ্ধ করেছিলেন বলে শুনেছি। তার বিরুদ্ধে অফিশিয়ালি তদন্ত চলছে এবং তাকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে বিএনপি মহাসচিবকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য, পদ হারালেন ছাত্রদল নেতা

error: Content is protected !!

প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ৮ ঘন্টা আগে
মোঃ জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

মোঃ জিয়াউর রহমানঃ

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এস. এস. সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জেরে স্থানীয়রা এক নারীসহ তাকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এস. এস. সোহরাব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রাগপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকায় স্থানীয় বলয় তৈরি করেন। সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে দাখিলা কিংবা নামজারি নামে নিয়মিত অনৈতিক সুবিধা দাবি করতেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, পর্যাপ্ত টাকা না দিলে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নামজারির আবেদন বাতিল করতেন।

 

এছাড়া, এক নারী সেবাগ্রহীতার সঙ্গে তিনি অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ উঠে। গত বৃহস্পতিবার ওই নারীকে অফিসে ডেকে নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলে এবং অফিসে আটকে রাখে। পরে সন্ধ্যার দিকে এক লক্ষ টাকা দেনদরবারে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এত কিছুর পরও যদি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা তাকে আইনের হাতে তুলে দেব।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, দুই মাস আগে একটি নামজারি তিনবার আবেদন করলে তিনি সেটি বাতিল হয়। পরে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন সোহরাব হোসেন। টাকা দেওয়ার পরেই নামজারিটি সম্পন্ন হয়। অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তা এস. এস. সোহরাব হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

অফিস সহায়ক জিয়াউর রহমান ও কম্পিউটার অপারেটর সাহাবুল হক বলেন, স্থানীয়রা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। তখন আমরা কেউ অফিসে উপস্থিত ছিলাম না। কেন অবরুদ্ধ রেখেছিলেন তা আমরা জানি না।

 

এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ কুমার দাস অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তাকে ভেড়ামারা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এক লক্ষ টাকার বিষয়টি জানিনা।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, অনৈতিক কাজের অভিযোগে স্থানীয়রা তাকে অবরুদ্ধ করেছিলেন বলে শুনেছি। তার বিরুদ্ধে অফিশিয়ালি তদন্ত চলছে এবং তাকে ইতোমধ্যে বদলি করা হয়েছে।


প্রিন্ট