ঢাকা , সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

ফুলবড়ীতে লাইসেন্স বিহীন কিটনাশক দোকানদারের দেয়া ঔষধে জমির ধান পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ

আসাদুর রহমান হাবিবঃ

 

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ২নং আলাদীপুর ইউনিয়নে লাইসেন্স বিহীন কিটনাশক দোকানদারের দেয়া ঔষধে প্রায় ১ বিঘা জমির ধান পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের সেনোড়া মোড়ে মুদি ও লাইসেন্স বিহীন সার কিটনাশক বিক্রয় করে আসছে খোকন রায় এলাকার কৃষকরা নগত ও বাকিতে সুযোগ সুবিধা পাওয়ায় তাঁর কাছেই সার কিটনাশক ক্রয় করে জমিতে ব্যবহার করে আসছেন বেশ কিছুদিন আগে অন্যান্য কৃষকদের মতো টুনু দাস ও সেখানেই সার কিটনাশক ক্রয় করে জমিতে ব্যবহার করেন এবং পরদিন এলাকার কৃষক তাঁদের জমি দেখতে গিয়ে দেখে টুনু দাসের জমির ধান পুড়ে গেছে বিষয়টি টুনু দাসকে জানালে টুনু দাস ছুটে গিয়ে দেখেন তাঁর জমির ধান সব পুড়ে গেছে বিষয়টি সার কিটনাশক দোকানদার খোকন রায়কে জানালে তিনি দেখে আসেন এবং ঔষধ তাঁর দোকান থেকে নেয়নি জানিয়ে গড়িমসি করেন।

 

এ বিষয়ে ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অর্পণ মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে এ বিষয়ে মুদি ও সার কিটনাশক দোকানদার খোকন রায়ের সাথে কথা বলি এবং গরীব মানুষ কিছু দিয়ে এর একটা সমঝোতা করে দেয়ার চেষ্টা করি কিন্তু মুদি ও সার কিটনাশক দোকানদার খোকন রায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে তিনি বসেন না।

 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক টুনু দাস জানান আমি গরীব মানুষ ঐটুকু অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করি সেই জমির ধান দিয়ে আমরা পরিবারের ৫-৬ জন মানুষ খায় আর কিছুদিন পর ধান কাটার কথা কিন্তু হঠাৎ কারেন্ট পোকা দেখা দেওয়ায় কিটনাশক দোকানদার খোকন রায়কে বলি তিনি ঔষধ দেন আমি জমিতে ছিটিয়ে দেই পরেরদিন এলাকার লোকজন এসে আমাকে বলে ধান পুড়ে যাওয়ার কথা দেখে এসে কিটনাশক দোকানদার খোকন রায়কে বলি তিনি আমাকে রাগারাগী সহ কাউকে যদি বলি সেই কারণে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় এরপর ও মেম্বারকে বলি কিন্তু কেনো লাভ হয়নি আমি একজন গরীব মুর্খ মানুষ আমার ক্ষতিপূরণসহ আপনাদের কাছে সহযোগিতা চায়।

 

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ মোস্তাফিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি মুদি ও সার কিটনাশক এক দোকানে বিক্রয় করা এটা একটা অপরাধ এবং আমরা লাইসেন্স বিহীন কোন সার কিটনাশক দোকানদারকে এলাও করবো না লাইসেন্স বিহীন যদি এরকম কোন অভিযোগ আসে আমরা জেল জরিমানা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে বিএনপি মহাসচিবকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য, পদ হারালেন ছাত্রদল নেতা

error: Content is protected !!

ফুলবড়ীতে লাইসেন্স বিহীন কিটনাশক দোকানদারের দেয়া ঔষধে জমির ধান পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ৭ ঘন্টা আগে
আসাদুর রহমান হাবিব, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :

আসাদুর রহমান হাবিবঃ

 

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ২নং আলাদীপুর ইউনিয়নে লাইসেন্স বিহীন কিটনাশক দোকানদারের দেয়া ঔষধে প্রায় ১ বিঘা জমির ধান পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের সেনোড়া মোড়ে মুদি ও লাইসেন্স বিহীন সার কিটনাশক বিক্রয় করে আসছে খোকন রায় এলাকার কৃষকরা নগত ও বাকিতে সুযোগ সুবিধা পাওয়ায় তাঁর কাছেই সার কিটনাশক ক্রয় করে জমিতে ব্যবহার করে আসছেন বেশ কিছুদিন আগে অন্যান্য কৃষকদের মতো টুনু দাস ও সেখানেই সার কিটনাশক ক্রয় করে জমিতে ব্যবহার করেন এবং পরদিন এলাকার কৃষক তাঁদের জমি দেখতে গিয়ে দেখে টুনু দাসের জমির ধান পুড়ে গেছে বিষয়টি টুনু দাসকে জানালে টুনু দাস ছুটে গিয়ে দেখেন তাঁর জমির ধান সব পুড়ে গেছে বিষয়টি সার কিটনাশক দোকানদার খোকন রায়কে জানালে তিনি দেখে আসেন এবং ঔষধ তাঁর দোকান থেকে নেয়নি জানিয়ে গড়িমসি করেন।

 

এ বিষয়ে ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অর্পণ মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে এ বিষয়ে মুদি ও সার কিটনাশক দোকানদার খোকন রায়ের সাথে কথা বলি এবং গরীব মানুষ কিছু দিয়ে এর একটা সমঝোতা করে দেয়ার চেষ্টা করি কিন্তু মুদি ও সার কিটনাশক দোকানদার খোকন রায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে তিনি বসেন না।

 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক টুনু দাস জানান আমি গরীব মানুষ ঐটুকু অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করি সেই জমির ধান দিয়ে আমরা পরিবারের ৫-৬ জন মানুষ খায় আর কিছুদিন পর ধান কাটার কথা কিন্তু হঠাৎ কারেন্ট পোকা দেখা দেওয়ায় কিটনাশক দোকানদার খোকন রায়কে বলি তিনি ঔষধ দেন আমি জমিতে ছিটিয়ে দেই পরেরদিন এলাকার লোকজন এসে আমাকে বলে ধান পুড়ে যাওয়ার কথা দেখে এসে কিটনাশক দোকানদার খোকন রায়কে বলি তিনি আমাকে রাগারাগী সহ কাউকে যদি বলি সেই কারণে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় এরপর ও মেম্বারকে বলি কিন্তু কেনো লাভ হয়নি আমি একজন গরীব মুর্খ মানুষ আমার ক্ষতিপূরণসহ আপনাদের কাছে সহযোগিতা চায়।

 

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ মোস্তাফিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি মুদি ও সার কিটনাশক এক দোকানে বিক্রয় করা এটা একটা অপরাধ এবং আমরা লাইসেন্স বিহীন কোন সার কিটনাশক দোকানদারকে এলাও করবো না লাইসেন্স বিহীন যদি এরকম কোন অভিযোগ আসে আমরা জেল জরিমানা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


প্রিন্ট