ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

আরএমপি পুলিশ কমিশনারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ আদালতের

মোঃ মনোয়ার হোসেনঃ

 

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু সুফিয়ানকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ শোকজ জারি করেন। নোটিশে পুলিশ কমিশনারকে ১৯ নভেম্বর মধ্যে আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

নোটিশে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার ছেলে তাওসিফ রহমানকে (সুমন) ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটে। এবং তার স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তদপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল হতেই অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে দেখা যায় অভিযুক্ত লিমন মিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকাবস্থায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে বক্তব্য প্রদান করে। যা আযেশা সিদ্দিকা মিল্লি বনাম রাষ্ট্র ৩৯ বিএলডি ৪৭০ সহ বিভিন্ন মামলায় প্রদত্ত মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ প্রদান করায় কেন আরএমপি কমিশনার মো. আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ। এসময় হামলায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাওসিফের মা তাসমিন নাহার (৪৪)। হামলাকারী লিমন আহত হয়ে হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন।

 

ভবনটির দারোয়ান মেসের আলী বলেন, ঘাতক লিমনকে তিনি আগে কখনো দেখেননি। বিচারককে ভাই পরিচয় দেওয়ায় তিনি ঢুকতে দেন। তবে তার আগে নাম ও মুঠোফোন নম্বর লিখিয়ে নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই যুবক ফ্ল্যাটে যান। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী তাকে এসে জানান, ফ্ল্যাটে বিচারকের ছেলেে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাও চলে আসেন। তারা সবাই ফ্ল্যাটে ঢুকে তিনজনকেই আহত পান। এরপর তিনজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগাতিপাড়ায় চাকসু ভিপি ইব্রাহীম রনিকে সংবর্ধনা

error: Content is protected !!

আরএমপি পুলিশ কমিশনারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ আদালতের

আপডেট টাইম : ১০ ঘন্টা আগে
মোঃ মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :

মোঃ মনোয়ার হোসেনঃ

 

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু সুফিয়ানকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ শোকজ জারি করেন। নোটিশে পুলিশ কমিশনারকে ১৯ নভেম্বর মধ্যে আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

নোটিশে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার ছেলে তাওসিফ রহমানকে (সুমন) ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটে। এবং তার স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তদপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল হতেই অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে দেখা যায় অভিযুক্ত লিমন মিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকাবস্থায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে বক্তব্য প্রদান করে। যা আযেশা সিদ্দিকা মিল্লি বনাম রাষ্ট্র ৩৯ বিএলডি ৪৭০ সহ বিভিন্ন মামলায় প্রদত্ত মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ প্রদান করায় কেন আরএমপি কমিশনার মো. আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ। এসময় হামলায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাওসিফের মা তাসমিন নাহার (৪৪)। হামলাকারী লিমন আহত হয়ে হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন।

 

ভবনটির দারোয়ান মেসের আলী বলেন, ঘাতক লিমনকে তিনি আগে কখনো দেখেননি। বিচারককে ভাই পরিচয় দেওয়ায় তিনি ঢুকতে দেন। তবে তার আগে নাম ও মুঠোফোন নম্বর লিখিয়ে নেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই যুবক ফ্ল্যাটে যান। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী তাকে এসে জানান, ফ্ল্যাটে বিচারকের ছেলেে ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাও চলে আসেন। তারা সবাই ফ্ল্যাটে ঢুকে তিনজনকেই আহত পান। এরপর তিনজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


প্রিন্ট