ঢাকা , রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo যশোরে কবিতার রূপ ও রস শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত Logo গোমস্তাপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন সম্পন্ন Logo নাটোরের বাগাতিপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি নেতাকে বহিস্কার Logo যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির মুক্তির দাবীতে ফরিদপুর জেলা ও মহানগর শাখার বিক্ষোভ মিছিল Logo গোয়ালন্দে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন Logo দৌলতপুরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচন নিয়ে নানা শুঞ্জন ও ক্ষোভ! Logo আমার সঙ্গে যারা বিরোধিতা করবে তারা আল্লাহর সঙ্গে বিরোধিতা করবে’ Logo আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সমর্থনে ভোট প্রত্যাশা করলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক Logo আলফাডাঙ্গায় সার্বজনীন পেনশন স্কীম সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা Logo নাটোরের লালপুর বাবার কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে সাগরের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে ইনডেক্সধারী কারিগরি শিক্ষকের মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে ইনডেক্সধারী কারিগরি শিক্ষকের মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. জাফর মোল্যা। তিনি উপজেলার ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত ময়না আনন্দ বোস ইনস্টিটিউটে শরীর চর্চার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী মো. সজীব মিয়া, শহীদ ও আবজাল উক্ত বিষয়টি তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলপূর্বক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত জাফর মোল্যা এনটিআরসিএ-র চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ভিত্তিতে শরীর চর্চা শিক্ষক পদে ময়না আনন্দ বোস ইনস্টিটিউটে সম্প্রতি যোগদান করেন। এমপিওভূক্তির জন্য তিনি কাগজপত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছেন। এর আগে উক্ত শিক্ষক মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার সিদ্দিক আকবর দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন। তার ইনডেক্স নম্বর ছিল M০০৩৪৮৩১। আগের ইনডেক্স বাতিল না করেই তিনি নতুন ইনডেক্সের জন্য আবেদন করেছেন।

অভিযোগ উক্ত শিক্ষকের নিবন্ধন সনদে উল্লেখ আছে তিনি কারিগরি ও ভোকেশনাল শাখায় নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য। তিনি মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য নন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান অরুন বিষয়টি জেনেও মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে ওই ইনডেক্সধারী শিক্ষককে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দ্বারা নিয়োগ দিয়ে এমপিওভূক্তির জন্য চেষ্টা করছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র জানায়, সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)-এর মাধ্যমে তিনি নিয়োগ পেলেও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)-এর বিধি মোতাবেক এবার ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা আবেদনের অযোগ্য ছিল। কিন্তু জাফর মোল্যা নামের ওই শিক্ষক বিধি ভঙ্গ করে তথ্য গোপন করে আবেদন করে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার নিজ গ্রাম ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত ময়না আনন্দ বোস ইনস্টিটিউটে নিয়োগ পান।

 

তথ্য গোপন করে এভাবে নিয়োগ পাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের জারিকৃত সার্কুলারের ১৪ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোন প্রার্থী কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত (এমপিওভূক্ত) হওয়া সত্বেও তথ্য গোপন করে আবেদন করে নির্বাচিত হন তবে তার নির্বাচন বাতিল করা হবে এবং তার বিদ্যমান এমপিও বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

 

 

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এনটিআরসিএ তদন্ত করেই নিয়োগ দিয়েছে। তারপরও যখন অভিযোগ উঠেছে, আমরা তদন্ত করে দেখবো।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে বলা হয়েছে, তিনি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিবেন।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

যশোরে কবিতার রূপ ও রস শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে ইনডেক্সধারী কারিগরি শিক্ষকের মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৩:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে ইনডেক্সধারী কারিগরি শিক্ষকের মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. জাফর মোল্যা। তিনি উপজেলার ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত ময়না আনন্দ বোস ইনস্টিটিউটে শরীর চর্চার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী মো. সজীব মিয়া, শহীদ ও আবজাল উক্ত বিষয়টি তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলপূর্বক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত জাফর মোল্যা এনটিআরসিএ-র চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ভিত্তিতে শরীর চর্চা শিক্ষক পদে ময়না আনন্দ বোস ইনস্টিটিউটে সম্প্রতি যোগদান করেন। এমপিওভূক্তির জন্য তিনি কাগজপত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছেন। এর আগে উক্ত শিক্ষক মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার সিদ্দিক আকবর দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন। তার ইনডেক্স নম্বর ছিল M০০৩৪৮৩১। আগের ইনডেক্স বাতিল না করেই তিনি নতুন ইনডেক্সের জন্য আবেদন করেছেন।

অভিযোগ উক্ত শিক্ষকের নিবন্ধন সনদে উল্লেখ আছে তিনি কারিগরি ও ভোকেশনাল শাখায় নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য। তিনি মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য নন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান অরুন বিষয়টি জেনেও মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে ওই ইনডেক্সধারী শিক্ষককে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দ্বারা নিয়োগ দিয়ে এমপিওভূক্তির জন্য চেষ্টা করছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র জানায়, সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)-এর মাধ্যমে তিনি নিয়োগ পেলেও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)-এর বিধি মোতাবেক এবার ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা আবেদনের অযোগ্য ছিল। কিন্তু জাফর মোল্যা নামের ওই শিক্ষক বিধি ভঙ্গ করে তথ্য গোপন করে আবেদন করে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার নিজ গ্রাম ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত ময়না আনন্দ বোস ইনস্টিটিউটে নিয়োগ পান।

 

তথ্য গোপন করে এভাবে নিয়োগ পাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের জারিকৃত সার্কুলারের ১৪ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোন প্রার্থী কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত (এমপিওভূক্ত) হওয়া সত্বেও তথ্য গোপন করে আবেদন করে নির্বাচিত হন তবে তার নির্বাচন বাতিল করা হবে এবং তার বিদ্যমান এমপিও বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

 

 

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এনটিআরসিএ তদন্ত করেই নিয়োগ দিয়েছে। তারপরও যখন অভিযোগ উঠেছে, আমরা তদন্ত করে দেখবো।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে বলা হয়েছে, তিনি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিবেন।