ফরিদপুরে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে মো. শামীম মোল্লা (৩৩) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদন্ডও দেওয়া হয়।
আজ রবিবার বিকাল ৩টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
রায় অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যাক্তিকে এক লাখ টাকা বাদীকে প্রদান করতে হবে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. শামীম মোল্লা ফরিদপুর সদরের পেযারপুর গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় শামীম মোল্লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। ২০২০ সালের ১২ মে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কিশোরীর মা কিশোরীকে ঘরে রেখে টিসিবির পণ্য তুলতে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শামীম মোল্লা কৌশলে ওই কিশোরীকে পাশের একটি বসত ঘরে নিয়ে মুখে গামছা বেধে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৯ মে শামীম মোল্লাকে একমাত্র আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আলী মন্ডল ২০২০ সালের ২৩ আগষ্ট শামীম মোল্লাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনারের সরকারি কৌসুলী (পিপি) স্বপন কুমার পাল বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শামীম মোল্লাকে যাবজ্জীন সশ্রম করাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আসামিকে এক লাখ টাকা প্রদান করতে হবে এবং এ টাকা বাদীকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, এ রায়ে দেশে আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে এবং সমাজ থেকে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে।
প্রিন্ট