ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মাদারীপুরের বেড়েছে কামারের ব্যস্ততা

-পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মাদারীপুরের বেড়েছে কামারের ব্যস্ততা।

অপি মুন্সীঃ

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। আগামীকাল মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এই ঈদে কুরবানি সামনে রেখে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার লোহা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। কুরবানির ঈদে গরু, ছাগল, মহিষ জবাই ও গোশত কাটতে ব্যবহৃত হয় কামারদের তৈরি দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি। তবে কয়লার মূল্য ও মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ব্যস্ত সময়েও হাসি নেই কামারিদের মুখে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিবচর, পাঁচ্চর, মাদবরের চর, চান্দের চর বাজার বিভিন্ন কামাররা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। হাপর বা জাতি টানছে একজন। এর বাতাসে জ্বলছে কয়লা, সেই কয়লায় পুড়ছে লোহা। সেই দগদগে লাল লোহাকে পিটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, চাপাতি।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেওয়া হয়। ছুরি শান দেওয়ার জন্য পঞ্চাশ টাকা থেকে শুরু করে দেড়’শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

ক্রেতারা বলেন, ‘আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে দা, বটি, চাকু ও ছুরির প্রয়োজন। তাই বাজারে দা, বটি ও ছুরি কিনতে এসেছি। তবে গত বছরে এসব জিনিসের দাম খানিকটা বেশি। দাম বেশি হলেও কিনতে তো হবেই।

প্রশান্ত কর্মকার, বিরেন কর্মকার, পরিতোষ কর্মকারসহ বেশ কয়েকজন কামার শিল্পী জানান, বলেন, সারা বছরই তারা দা, বটি, চাকু, ছুরি বিক্রি করেন। কিন্তু কোরবানির মৌসুমেই এসব সরঞ্জামের কেনাবেচার ধুম পড়ে। এবারও ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়লা ও লোহার দাম খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় কামারদের কাছ থেকে খানিকটা বেশি দামে এসব জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। যার ফলে কিছুটা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মাদারীপুরের বেড়েছে কামারের ব্যস্ততা

আপডেট টাইম : ১৫ ঘন্টা আগে
অপি মুন্সী, শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি :

অপি মুন্সীঃ

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। আগামীকাল মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এই ঈদে কুরবানি সামনে রেখে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার লোহা শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে তাদের ব্যস্ততা। কুরবানির ঈদে গরু, ছাগল, মহিষ জবাই ও গোশত কাটতে ব্যবহৃত হয় কামারদের তৈরি দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি। তবে কয়লার মূল্য ও মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ব্যস্ত সময়েও হাসি নেই কামারিদের মুখে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিবচর, পাঁচ্চর, মাদবরের চর, চান্দের চর বাজার বিভিন্ন কামাররা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। হাপর বা জাতি টানছে একজন। এর বাতাসে জ্বলছে কয়লা, সেই কয়লায় পুড়ছে লোহা। সেই দগদগে লাল লোহাকে পিটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ছুরি, চাপাতি।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেওয়া হয়। ছুরি শান দেওয়ার জন্য পঞ্চাশ টাকা থেকে শুরু করে দেড়’শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

ক্রেতারা বলেন, ‘আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে দা, বটি, চাকু ও ছুরির প্রয়োজন। তাই বাজারে দা, বটি ও ছুরি কিনতে এসেছি। তবে গত বছরে এসব জিনিসের দাম খানিকটা বেশি। দাম বেশি হলেও কিনতে তো হবেই।

প্রশান্ত কর্মকার, বিরেন কর্মকার, পরিতোষ কর্মকারসহ বেশ কয়েকজন কামার শিল্পী জানান, বলেন, সারা বছরই তারা দা, বটি, চাকু, ছুরি বিক্রি করেন। কিন্তু কোরবানির মৌসুমেই এসব সরঞ্জামের কেনাবেচার ধুম পড়ে। এবারও ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়লা ও লোহার দাম খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় কামারদের কাছ থেকে খানিকটা বেশি দামে এসব জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। যার ফলে কিছুটা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।


প্রিন্ট