আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ সংসদীয় আসনের রাজনীতিতে বিএনপির তৃণমুলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।স্থানীয়রা জানান, ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সম্পাদক আদর্শিক ও পরিক্ষিত নেতৃত্ব মাসউদা আফরোজ হক শুচিকে মনোনয়ন বঞ্চিত করে আমিনুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়ায় তৃণমূলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণের সুত্রপাত হয়েছে।
শুচির অনুসারীরা বলছে,স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা, প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও ভোটারদের মানসিকতা বিবেচনা না করেই প্রার্থী হিসেবে আমিনুল ইসলামকে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা বলছে, এখানে প্রার্থী পরিবর্তন এবং নেতাকর্মীদের মতামত ও ভোটারদের মানসিকতা বিবেচনা করে প্রার্থী দেয়া না হলে, বিএনপি নারী ভোটারদের ভোট বঞ্চিত হবে।কারণ নারী ভোটারদের মাঝে শুচির নিজস্ব একটা বিরাট ভোট ব্যাংক রয়েছে।আর নারী ভোটারদের ভোট বঞ্চিত হলে বিএনপির বিজয় হওয়া অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি বিএনপির রাজনীতিতে তৃণমুল নেতাকর্মীদের কাছে আস্থা ও ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তিনি একজন প্রচন্ড সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবান নেতৃত্ব যিনি রাজনীতিকে কখনোই ব্যক্তিস্বার্থ বা পদ-প্রাপ্তির হাতিয়ার হিসেবে দেখেননি, বরং জনগণের সেবা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে যাচ্ছেন। তার জন্ম একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তিনি রাজনৈতিক সচেতন পরিবারের সন্তান হিসেবে শৈশব থেকেই সংগ্রামী রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা মাসউদা আফরোজ হক শুচির।
ছোটবেলা থেকেই দেখেছেন রাজনীতি মানে জনগণের পাশে থাকা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, দুর্বল ও অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর হওয়া। তার পিতা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় রাজনীতির একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। এরই ধারাবাহিকতায় শুচি ছোট থেকেই রাজনীতি ও সমাজসেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, “রাজনীতি মানে মানুষের কল্যাণে কাজ করা—এই মনোভাবই একজন নেতাকে সত্যিকারের নেতা করে তোলে।পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, ন্যায়পরায়ণতা ও সততার মূর্ত প্রতীক তিনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাজনীতির মাঠে শুচি একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন নারী নেত্রী হিসেবে সুপরিচিত। তার চরিত্র, সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে।
ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে তিনি সর্বদা স্বচ্ছ, সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। কোনো প্রকার হিংসা, লোভ বা স্বার্থপরতা তার রাজনীতিতে জায়গা পায়নি। তার কাছে রাজনীতি মানেই দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিতে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে শুচি ছিলেন প্রথম সারির কর্মী ও নেতৃত্বের ভূমিকায়। যখনই দল বা দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে,তখনই তিনি রাজপথে থেকে সাহসিকতার সঙ্গে আওয়াজ তুলেছেন। উপজেলা, জেলা, বিভাগ এমনকি কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতেও তার বলিষ্ঠ উপস্থিতি তাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তিনি কখনো ভয় পাননি, কখনো আপোস করেননি বরং
প্রতিটি চ্যালেঞ্জে ছিলেন দৃঢ় ও আত্মবিশ্বাসী।
জনগণের সেবায় নিবেদিত জীবন শুচি শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন সমাজসেবক। নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, বয়স্ক ও বিধবা নারীদের সহায়তা এবং স্থানীয় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তিনি নিয়মিত সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন জনগণের সেবায় নিয়োজিত জীবনই সবচেয়ে বড় রাজনীতি।”
তার প্রতিটি পদক্ষেপেই জনগণকে কেন্দ্র করে চিন্তা করেন তিনি। এই কারণেই গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে শুচি আপাই জনগণের প্রার্থিত মুখ।”জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন শুচি।
আসন্ন ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (৪৪) আসনে বিএনপি’র প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান মাসউদা আফরোজ হক শুচি।
ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে তিনি গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও নারী ভোটারদের সংগঠিত করার কাজে সক্রিয় রয়েছেন। তার নেতৃত্বে এলাকায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যমে কাজ করছে। বিভিন্ন গ্রাম, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তিনি জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন “ধানের শীষের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে শুচি আপা এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ভোটারদের প্রত্যাশিত প্রার্থী।”
আস্থা, ধৈর্য ও বিজয়ের বিশ্বাস- মাসউদা আফরোজ হক শুচি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন রাজনীতিতে ধৈর্য ও আস্থা থাকলে বিজয় নিশ্চিত। তিনি বলেন,আমি পদ বা ক্ষমতা চাই না, আমি জনগণের ভালোবাসা চাই। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারলেই নিজেকে সফল মনে করি। তিনি মনে করেন নেতাকর্মীদের মতামত ও ভোটারদের মানসিকতা বিবেচনা করে প্রার্থী দেয়া হলে তার মনোনয়ন নিশ্চিত।
তার এই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই জনগণের সঙ্গে গড়ে উঠেছে অটুট সম্পর্ক ও ভালোবাসার বন্ধন।
তার অনুসারীরা বলেন আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, ধৈর্য, আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের আছে ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের হবেই।”
জনগণের দোয়ায় এগিয়ে চলছেন- শুচি আপার নেতৃত্বের প্রতিটি অধ্যায়ই প্রমাণ করেছে, তিনি জনগণের নেত্রী। তাই সাধারণ মানুষ আজ একবাক্যে বলছে আমরা চাই মাসউদা আফরোজ হক শুচি আপাকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে এই জনপদের সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন পুরুণ করা হবে। কারণ তিনিই জনগণের সত্যিকারের সেবক।
আল্লাহর রহমতে ও জনগণের দোয়ায় তিনি এগিয়ে চলেছেন এক দৃঢ় পদক্ষেপে তার জন্য সবাই দোয়া করছেন।এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রাজনৈতিক কারণে স্থানীয় বিএনপির দায়িত্বশীল কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি।
প্রিন্ট

বালিয়াকান্দিতে মোবাইলকোট পরিচালনায় দুই ট্রলি চালককে জরিমানা 
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি 




















