মোঃ জসিম উদ্দীন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে চালু হওয়া কৃষকের বাজার ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে। এই বাজারে কৃষকরা সরাসরি তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারছেন, যা সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি সৃষ্টি করেছে। একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারছেন।
৩০ নভেম্বর, শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে কৃষকরা তাদের খেতের উৎপাদিত লাউ, শিম, মূলা, বরবটি, আলু, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন কাঁচা সবজি বিক্রি করছেন। এতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কম হওয়ায় ক্রেতারা সন্তুষ্ট।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে সাধারণ পাঠাগার মাঠ চত্বরে অস্থায়ীভাবে এই কৃষকের বাজার চালু করা হয়। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এই বাজারে পলিথিন মুক্ত কেনাকাটা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পরিবেশবান্ধব ভুট্টার আঁশে তৈরি ব্যাগ ও পাটের ব্যাগ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এখানে শুধু কাচা সবজি নয়, মাছ, মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যও পাওয়া যায়। বাজার করতে আসা ক্রেতা ইসলাম জানান, তিনি এখান থেকে স্থানীয় বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে পণ্য কিনেছেন। কিছু পণ্যের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কম ছিল। সহিদা খাতুন এবং আসমা বেগম নামের ক্রেতারা জানান, তারা ব্রয়লার মুরগির মাংস স্থানীয় বাজারের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কমে কিনেছেন। গরুর মাংসের দামও ছিল ৬৪০ টাকা কেজি, যা সাধারণত ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ মাগুরাতে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র ও হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, “কৃষকের বাজার মূলত হলিডে মার্কেটের মতো, যেখানে ছুটির দিনে সুলভ মূল্যে ক্রেতারা পণ্য কিনতে পারেন এবং কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পেয়ে থাকে।” তিনি আরও বলেন, “ভোক্তারা চাইলে এই বাজারকে আরও বড় পরিসরে করার বিষয়ে চিন্তা করা হতে পারে।”
প্রিন্ট