‘যেখানে বঞ্চনা, যেখানে বৈষম্য, যেখানে আছে মানবাধিকার লংঘন সেখানেই আলো ফেলে প্রথম আলো। আমৃত্যু প্রথম আলো এ দায়িত্ব পালন করবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা সেটাই আমাদের চাহিদা।’
ফরিদপুরে রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথম আলোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কথাগুলি বলেন আয়োজিত সমাজের বিভিন্নস্তরের সুধী সমাজের ব্যাক্তিবর্গ।
আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শহীদ মিনার চত্ত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর একটি বক্তব্য একটি গান দিয়ে উপস্থাপন করা হয় সমগ্র অনুষ্ঠানটি।
প্রথম আলোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কথা বলেন প্রবীন শিক্ষাবিদ এম এ সামাদ ও আলতাফ হোসেন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হবিবুর রহমান, জেলা মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি খাদিজা বেগম, লেখক মফিজ ইমাম, জেলা খেলাঘরের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ২০ বছর আগে পত্রিকার মালিক ছিলেন সাংবাদিক, পত্রিকা বের হতো সাংবাদিকদের হাত দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে শিল্পপতিরা পত্রিকার মালিক হয়েছেন তাদের ইচ্ছে অনিচ্ছার ভিত্তিতে সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা করতে হয়। এর মধ্যে দুই একটি ব্যতিক্রমের প্রধান হল দৈনিক প্রথম আলো। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান সৎ বস্তু ও তথ্য নিষ্ট সাংবাদিকতার একটি মহিরুহু।
অনুষ্ঠানে ‘ওরে নূতুন যুগের ভোরে দিসনে সময় কাঁটিয়ে বৃথা সময় বিচার করে’ গান পরিবেশন করে আসমা আক্তার, সাগরের তীর থেকে মিষ্টি কিছু কিছু হাওয়া নিয়ে’- গান পরিবেশন করেন অঙ্কিতা পাল, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’-গান পরিবেশন করেন বন্ধুসভার আব্দুস সবুর এবং সবশেষে ‘আলো আমার আমার আলো ওগো আলোয় ভুবন ভরা’-গানটি পরিবেশেন করেন বন্ধু সভার মিঠুন দাস।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো ফরিদপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক প্রবীর কান্তি বালা। উপস্থাপনা করেন বন্ধুসভার উপদেষ্টা শিপ্রা গোস্বামী। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ফরিদপুর বন্ধু সভার সভাপতি মানিক কুন্ডু।
প্রিন্ট