জেলহত্যা দিবস স্মরণে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ৩ নভেম্বর সকালে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ওসমান গনী, পাংশা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র ওদুদ সরদার, পাংশা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাকিম রুমি ও পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহিদুল ইসলাম মারুফ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা গভীর শ্রদ্ধাভরে জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করে বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের বেদনা-বিধুর ঘটনা দু’টি একই চক্রান্তের ধারাবাহিকতা। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার বিশ্বস্ত চার সহচর মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে মাঠে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উপস্থাপনা করেন পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওহাব মন্ডল।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌরাট ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. হাবিবুর রহমান প্রামানিক।
অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য ও পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোবিন্দ কুন্ডু, বাবুপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. ইমান আলী সরদার, পাট্টা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রব (মোনা বিশ্বাস), যশাই ইউপির চেয়ারম্যান মো. আবু হোসেন খান, বাহাদুরপুর ইউপির চেয়ারম্যান সজিব হোসেন, আফসার বিশ্বাসসহ বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।