দেশের রপ্তানির সিংহভাগ চিংড়ির জোগান দেয় দক্ষিণ অঞ্চলের পাঁচ জেলা। সম্প্রতি অঞ্চলটিতে চিংড়ির উৎপাদন বাড়লেও কমেছে রপ্তানি। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম সাদা সোনাখ্যাত এই খাতটি পড়েছে চরম মন্দাদশায়। তবে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের স্থানীয় মার্কেটে চিংড়ির চাহিদা অনেক বেশি। এ ছাড়া বিদেশে ভেনামি চিংড়ির কাছে মার খাচ্ছে বাগদা-গলদা। এসব কারণেই মূলত কমেছে রপ্তানি।
খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অফিস জানায়, খুলনা বিভাগে বেশিরভাগ চিংড়ি চাষাবাদ হয় ৫টি জেলায়। জেলাগুলো হলো খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর ও নড়াইল। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই জেলাগুলোতে ১ লাখ ৪০ হাজার ১১ টন চিংড়ি উৎপাদন হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয় ১ লাখ ২ হাজার ২১৫ টন।
খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা অঞ্চল থেকে ইউএসএ, থাইল্যান্ড, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডন, ইন্ডিয়া, বেলজিয়াম, জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে ৩৭টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান চিংড়ি রপ্তানি করছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ অঞ্চল থেকে ২৪ হাজার ১০৪ টন চিংড়ি রপ্তানি হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয় ১৯ হাজার ৯০৪ টন।
পরিসংখ্যান বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে এ অঞ্চলে চিংড়ি উৎপাদন বেড়েছে ৩৭ হাজার ৭৯৬ টন। অন্যদিকে এক বছরের ব্যবধানে চিংড়ি রপ্তানি কমেছে ৪ হাজার ২০০ টন।