আজকের তারিখ : নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ৮:৪২ এ.এম || প্রকাশকাল : অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ৪:৫৮ পি.এম
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
সুবর্ণচরে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি কাঁচা ইটভাটা। এগুলোর অধিকাংশগুলোতে পোড়ানো হচ্ছে কাঁচা কাঠ। অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন, তেমনই ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। দীর্ঘদিন ধরে এ ইটভাটাগুলো চললেও এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নিরূপায় হয়ে এ ইটভাটাগুলো বন্ধের দাবিতে, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্ধারা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সুবর্ণচরের সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তারা স্মারকলিপি জমা দেন। এ কর্মসূচিতে কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ইটভাটাগুলোতে গাছ, মাটি ও ইট পরিবহনের জন্য যে ট্রাক্টর-পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়,সেগুলোর কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হলেও প্রতিটি ইটভাটায় জিকজাক চিমনির পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক বাংলা চিমনি। অথচ ২০১৩ সালে ইটভাটা সংক্রান্ত এক পরিপত্রে বাংলা চিমনি অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নিরব ভূমিকায় পরিবেশ অধিদফতর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। তবে উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন নোয়াখালী দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙুলি দেখিয়ে ও ম্যানেজ করে চলছে অবৈধ ভাটাগুলোর এমন কার্যক্রম, অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারা আরও জানান, ইটভাটার কালো ধোঁয়া আশপাশের পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইটভাটা এলাকাগুলোতে অন্ধকার নেমে আসে। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় পুরো এলাকা। পুড়ে যাচ্ছে কাঁচা গাছপালা, অসুস্থ হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ মানুষজন। আগামী সাতদিনের মধ্যে ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন স্থানীয়রা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা যুবদল নেতা বেলাল হোসেন সুমন, রিয়াজ উদ্দিন শাকিল, চরআমান উল্যাহ এক্স স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি আরমান হোসেন, ওমর ফারুক, নুরুল আলম শামীম প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন সরকারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha