জুম্মা সলিডারিটি ইউকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান মানবিক সংকট মোকাবেলায় জরুরি আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি আদিবাসী জুম্ম জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করেছে। সংগঠনটি আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারেরও প্রতি প্রতি আহ্বান জানায়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে, সরকারী বাসভবন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভে, জুম্মা প্রতিনিধিরা বলেন যে শুধুমাত্র গত সপ্তাহে, জাতিগত কারণে চারজন নিরীহ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের হাজার হাজার আদিবাসী মানুষ ভয়ের মধ্যে বসবাস করছে, তাদের বাড়িঘর ও গ্রামে অগ্নিসংযোগ সহ সহিংসতার চলমান হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে, বাঙালি মুসলমান বসতি স্থাপনকারীরা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৯০ টিরও বেশি দোকান ও বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, চারজন নিরস্ত্র আদিবাসী জুম্ম মানুষকে হত্যা করেছে এবং আরও ১৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন রেগা চাকমা, জেসি চাকমা, তাজিম চাকমা, আনন্দ ভিক্কু, ভান্তে সুমনশ্রী, জুন সান চাকমা, অভি বড়ুয়া ও নিপুন চাকমা।
জুম্মা সলিডারিটি ইউকে-এর একজন মুখপাত্র বলেন, "আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা এই সহিংসতাকে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলতে দিচ্ছে।" "আমরা আশা করি সাম্প্রতিক সহিংসতার বৃদ্ধি বিশ্বকে নজর দিতে বাধ্য করবে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ভয় ছাড়া বেঁচে থাকার অধিকার দেবে।"
এতে আরও বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জুম্ম জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে তাদের পৈতৃক ভূমি থেকে তাদের উৎখাত করার নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টার সম্মুখীন হয়েছে। সমতল ভূমির বাঙালি মুসলিম বসতি স্থাপনকারীদের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বন্দোবস্তের ফলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস্তুচ্যুত , জাতিগত গণহত্যা, ধর্ষণ এবং অবৈধ জমি দখল হয়েছে।
১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে গ্রেফতার, অবৈধ আটক এবং সামরিক অভিযানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।
জুম্মা সলিডারিটি ইউকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ অবিলম্বে বন্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের সমস্ত সামরিক ক্যাম্প প্রত্যাহার, আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার সহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha