আজকের তারিখ : জানুয়ারী ১৩, ২০২৫, ৩:২৮ পি.এম || প্রকাশকাল : জুলাই ১৫, ২০২৪, ৪:১৯ পি.এম
তানোরে আকর্ষিক বন্যা কৃষি ও মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি
রাজশাহীর তানোরে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় সহস্রাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বিশেষ করে নিচু ও বিল এলাকার পুকুরগুলো বেশী ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিভিন্ন কৌশলে ঘের দিয়েও পুকুরের মাছ রক্ষা করা যাচ্ছে না। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি ও মৎস্যখাত। এছাড়াও নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম প্লাবিত ও রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে।
এরমধ্যে তানোর পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চলের আমশো তাঁতিয়ালপাড়া, গোকুল মথুরা, তালন্দ, ধানতৈড়, কালিগঞ্জ ইত্যাদি।
এছাড়াও উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) বাতাসপুর, শ্রীখন্ডা, হাতিশাইল, কামারগাঁ, গাংহাটি, কচুয়া, মালশিরা, নিজামপুর, হরিপুর, দমদমা ও মাঝিপাড়া। কলমা ইউপির চন্দনকৌঠা, ঘৃতকাঞ্চন, নড়িয়াল, আজিজপুর, অমৃতপুর ও কুজিশহর। চাঁন্দুড়িয়া ইউপির হাড়দহ, জুড়ানপুর, সিলিমপুর, চাঁন্দুড়িয়া ও বেড়লপাড়া। সরনজাই ইউপির কাঁসারদীঘি, তাতিহাটি নবনবী, মন্ডলপাড়া। পাঁচন্দর ইউপির ইলামদহী, চাঁদপুর, চককাজিজিয়া, মোহাম্মদপুর, বানিয়াল, বনকেশর, কোয়েল ও কচুয়া এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার মানুষ বেশী ক্ষতির মুখে পড়েছে।
উপজেলা মৎস্য বিভাগের হিসাব মতে, উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানা পুকুরের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার এবং সরকারি খাসপুকুর রয়েছে প্রায় এক হাজার। গত সপ্তাহের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আশা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ পুকুর তলিয়ে যায়। উপজেলার প্রায় সহস্রাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এসব পুকুরে বিভিন্ন জাতের বড় মাছ ও পোনা ছিল। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা মাছের পরিমাণ প্রায় ছিল ১০ মেট্রিক টন এবং পোনা ছিল প্রায় ১৫ লাখ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ৷ ব্লকে প্রায় ৩০ হেক্টর, মাদারিপুর ৮ হেক্টর, ছাঐড় ১০ হেক্টর, কৃষ্ণপুর ৫ হেক্টর ও পাঁচন্দর ব্লকের মোহাম্মদ পুর ৭ হেক্টর, চাঁদপুর ১০ হেক্টর এবং চান্দুড়িয়া ব্লকের চাঁন্দুড়িয়া-বেড়লপাড়া ১৫ হেক্টর সিলিমপুর ৫ হেক্টর। তানোর পৌরসভায় ১১০ হেক্টর। সব মিলে দুশ'হেক্টর আমনখেত ডুবেছে এর মধ্যে আংশিক ১৫০ হেক্টর ও পুরোপুরি ডুবেছে ৫০ হেক্টর। তবে উপজেলায় বন্যায় কি পরিমাণ আমণখেতসহ অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,তার সুনিদ্রিষ্ট তথ্য জানাতে পারেনি কৃষি বিভাগ। কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের (এএও) তারা কাছে পায় না।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, সময়মতই বৃষ্টির পানি হয়েছে। যার কারনে কৃষকরা কোমর বেধে জমি রোপন শুরু করেছেন। এবারে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২২ হাজার ৫০০ হেক্টর ধরা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমি রোপন হয়েছে। কৃষিতে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে বলেই অল্প সময়ের মধ্যে জমি চাষ ও রোপন শেষ করতে পারছেন কৃষকেরা। তবে বন্যায় কৃষিখাতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার সুনিদ্রিষ্ট তথ তিনি জানাতে পারেননি।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু একটানা মুশুলধারে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জন্য বের হওয়া সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি শেষে ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের সংখ্যা নোট করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha