বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যায় জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাঘা উপজেলা যুবলীগ লীগ। বুধবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে আশরাফুল ইসলাম বাবুলের রক্তাক্ত ছবি সংবলিত ব্যানারের দুই পাশে, হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আ’লীগের সদস্য আক্কাছ আলী এবং পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজের ক্রস চিহৃ বিশিষ্ট ছবি নিয়ে বিক্ষভ করতে দেখা যায়।
মিছিলের ¯েøাগান ছিল- ফাঁসি-ফাসি ফাঁসি চাই, আক্কাছ-মেরাজের ফাঁসি চাই। মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান নিপনের সভাপতিত্বে ও যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টুর সঞ্চালনায় সেখানে বক্তব্য দেন, নিহত বাবুলের ছেলে আশিক জাবেদ, আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শহীদুজ্জামান শাহিদ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, বাঘা পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহিন আলম, সাধারণ সম্পাদক জুবাইদুল হক, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হোসেন বিপ্লব, বাউসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের উপজেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিল্টন, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ফাতেমা খাতুন লতা ও বাজুবাঘা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিম হাসান স্বদেশ প্রমুখ।
তারা গত ২২ জুন শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলাকালে হামলা চালিয়ে বাবুলকে কুপিয়ে হত্যার দাবি করেন। বাবুলের ছেলে আশিক জাভেদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, খুনি আক্কাছ ও মেরাজের মৃত্যু নিশ্চিত করা হোক।
জানা যায়, গত ২২ জুন আ’লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসুচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উপজেলা পরিষদের ভেতরে নতুন একটি ভবনের সামনে আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়। মাথায় গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ জুন মারা যান আশরাফুল ইসলাম বাবুল। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত অফিসার সোয়েব খান বলেন, বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন আক্কাছসহ ৪ জন। আক্কাছকে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha