কুষ্টিয়া জেলার সর্ববৃহৎ একটি উপজেলার নাম দৌলতপুর উপজেলা। এ উপজেলার সদরে উপজেলা চত্বরের দক্ষিণ পার্শ্বে প্রাণকেন্দ্রে নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত বর্তমানে ৪ একর জমির উপর ১৯৮৫ সালের ১১ ডিসেম্বর এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ কলেজটি অনেক চড়াই উত্রাই পেরিয়ে উপজেলার সকল বিদ্যাপিঠের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হিসাবে জেলা পযার্যে সীকৃতি লাভ করেছে এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০১৮ সালে জেলা পযার্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুরস্কার লাভ করে। খুলনা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসাবে ক্ষ্যাতি রয়েছে।
সেই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজে আজ মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রলীগ ও অধ্যক্ষ। দুর্নীতি সহ নানা ঘটনায় অস্থির ক্যাম্পাস, ভাঙচুর ও আন্দোলন তুঙ্গে। শিক্ষার্থীদের দাবি, দেয়া হয়েছে গুলি করার হুমকিও। পড়া লেখায় অনেক টাকা খরচের তীব্র অভিযোগও রয়েছে শিক্ষার্থীদের। কলেজের গোপনীয়তা ফাঁস। নানা অনিয়ন ও ব্যাপক দুর্নীতি করে অধ্যক্ষ কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে এমন অভিযোগ উঠে আসছে প্রকাশ্যে। এই নিয়ে গুটা জেলায় বিভিন্ন মহলসহ চায়ের দোকানে চলছে নানা সমালোচনার ঝড়। সবার মুখে একই কথা,দৌলতপুর কলেজে হচ্ছো টা কি ?
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ ও তার দেহরক্ষী, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ‘শটগান দিয়ে গুলি করে উড়িয়ে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে দৌলতপুর কলেজে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে অধ্যক্ষের প্রাইভেট কার ভাঙচুর করেছেন।
‘গুলি করে উড়িয়ে দেওয়ার’ হুমকি দেওয়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ ও আওয়ামী লীগ নেতা ছাদিকুজ্জামান খান সুমনের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
দৌলতপুর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নান্টু মিঞা সহ উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, কলেজ শাখা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়েছে। আমরা কলেজ ক্যাম্পাসে কর্মসূচি, ক্যান্টিন তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে নেয়া অতিরিক্ত ভর্তি ফি সহ বিভিন্ন ফির বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করার জন্য ক্যাম্পাসে জড়ো হই।
আলাপচারিতার এক পর্যায়ে অধ্যক্ষের সহযোগী রাজুসহ দু’তিনজন এসে আমাদের কোনো কার্যক্রম চালাতে দেয়া হবে না বলে জানায়। পাশাপাশি উচ্চবাচ্য করতে থাকে। এসময় কথোপকথনের সময় তারা গুলি করারও হুমকি দেয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী হয়ে উঠলে। এসময় দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমানুল্লা আমান এবং সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন সহ উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলো।
খবর পেয়ে সিনিয়র নেতারাও ক্যাম্পাসে আসেন দুএকজন। অধ্যক্ষের নেতৃত্বে তার একান্ত অনুগত কর্মচারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা অধ্যক্ষের একটি বিলাসবহুল গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করে গত ৬জুন।
দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমান অভিযোগ করে বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকে পুঁজি করে রীতিমতো ব্যাপক বাণিজ্য চলে। দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছাদিকুজ্জামান খান সুমন অবৈধ নিয়োগ ও বেতন বাণিজ্য করে ইতোমধ্যে তিনি বিলাস বহুল চারটি বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন। কলেজে নিয়োগ পাওয়া অনার্স শাখার শিক্ষকদের তৃতীয় ও দ্বিতীয় শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় বেতন করে হাতিয়ে নিয়েছেন পাঁচ কোটি টাকারও বেশি।
ছাত্রলীগকে স্বীকৃতি দেয়া হয়না ঐ দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করতে উদ্যোগী হওয়া ছাত্রলীগের নতুন ইউনিটকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।
কলেজ ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ব্যবহার শিক্ষার্থীরা মানে না। নিজের স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিষ্ঠা করতে কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য সুমন স্যার (অধ্যক্ষ) উঠে পড়ে লেগেছে। কলেজটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের নানা অভিযোগ এবং নতুনভাবে কার্যক্রম শুরুর উদ্দেশ্যে কলেজ ইউনিট, উপজেলা ইউনিটকে জানালে শিক্ষার্থীদের সাথে কলেজের মাঠে গাছের ছায়ায় কথা বলার জন্য আমরা একত্রিত হই।
গত বুধবার ৫জুন, দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ ও তার দেহরক্ষী, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ‘শটগান দিয়ে গুলি করে উড়িয়ে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। এর জেরে দৌলতপুর কলেজে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে অধ্যক্ষের প্রাইভেট কার ভাঙচুর করেন। ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৬জুন,বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে এই সংবাদ সম্মেলনের পর ৬জুন রাত পৌনে আটটায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিরোধের কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কলেজে ছাত্রলীগের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও তাঁর ভাই বুলবুল আহম্মেদ টোকেন চৌধুরীর নির্দেশে হয়েছে। অধ্যক্ষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫জুন,মঙ্গলবার দৌলতপুর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি ফি এবং অনার্স কোর্সের ফরম পূরণের অতিরিক্ত খরচ কমানো, কলেজ ক্যাম্পাসে স্থায়ী ক্যান্টিন নির্মাণ এবং ৭ জুন,ছয় দফা দিবস উপলক্ষে কলেজে অনুষ্ঠান করার অনুমতিসহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের অপমান করেন। কলেজে কোনো ছাত্রলীগের রাজনীতি চলবে না বলে জানান অধ্যক্ষ।
উপজেলা ছাত্রলীগের অভিযোগ, দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দাবিগুলো আবারও পুনরায় বিবেচনা করার জন্য অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খানকে অনুরোধ করেন। এ সময় অধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের গুলি করতে যান। এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে অধ্যক্ষের অনুগত রাজু, বিদ্যুৎ, ছোটন খা, মমিনুর রহমান মোহন তাঁদের ওপর চড়াও হন। সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতারা অভিযোগ করেন, ছাদিকুজ্জামান খান তাঁর বৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও কলেজের ভূগোল বিষয়ের প্রদর্শক জহুরুল আলমকে গুলি করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় জহুরুল আলম দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন। তাই প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি, এই অধ্যক্ষের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলসহ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হোক।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছাদিকুজ্জামান দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। নিজস্ব নোয়া গাড়িতে তিনি কলেজে যান। তাঁর দুটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। একটি শটগান। আরেকটি পিস্তল। কলেজে যাওয়ার পর শটগান গাড়িতে রেখে পিস্তল পকেটে নিয়ে কার্যালয়ে যান। এটা সকলের কাছে দেখতে বে মানা। অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা ঐ অস্ত্র দেখে চরম ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দৌলতপুর কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে যান। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে কলেজের অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সহকারী রাজু আহম্মেদ, সহকারী লাইব্রেরিয়ান মোমেনুর রহমান ও অধ্যক্ষের দেহরক্ষী জাফর ইকবাল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে সেখানে কথা কাটাকাটি ও চরম বাকবিতন্ড সৃষ্টি হয়।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বলেন, অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে অধ্যক্ষের অনুসারী শিক্ষক-কর্মকর্তারা শটগানের গুলিতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় সেখানে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী কলেজ ভবনের একটি কক্ষে গিয়ে এক শিক্ষকের জামার কলার টেনে ধরেন। বকাঝকা করে এক মিনিট পর তাঁরা বের হয়ে যান। পরে তাঁরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যান। তবে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে তাঁরা অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসে ইটপাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর করেন।
খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসানসহ অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে কলেজ ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের অনুসারী লোকজনের দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছেন।
অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান বলেন,আমি দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকার মনোনীত প্রার্থী আ ক ম সরোয়ার জাহানের নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট হিসেবে কাজ করি। এ নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী এবং তাঁর ভাই টোকেন চৌধুরী আমার উপর ক্ষিপ্ত। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টোকেন চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ার পর আরও ক্ষিপ্ত হন তারা।
বর্তমানে কলেজে ফরম পূরণ বা অন্য কোনো কার্যক্রম চলছে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধে বহিরাগত ক্যাডাররা কলেজে হামলা চালিয়ে আমার গাড়িসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠি, হকিস্টিক, রামদা, হাত কুড়াল, চাপাতিসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে বেআইনিভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। অধ্যক্ষের নাম ধরে গালিগালাজ। এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মিথ্যাচার করে মিথ্যাকে সত্য বানানোর চেষ্টা করছে ছাত্রলীগ।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, দৌলতপুর কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তির বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাকবিতন্ডা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কলেজে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। পরে দৌলতপুর থানা-পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদ (ভেড়ামারা সার্কেল) জানান, দৌলতপুর কলেজে হট্টগোলের সম্ভাবনা আছে খবর পেয়ে আগেই দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে আমরাও আসি। আমরা আসার আগেই এখানে কিছু বিশৃঙ্খল ঘটনাও ঘটে গেছে, দু'পক্ষের বাকবিতন্ডা হয়েছে। আমরা সব পর্যবেক্ষণ করেছি।
তথ্য-উপাত্ত নিয়েছি, উভয় পক্ষেরই কমবেশি অভিযোগ রয়েছে, জানিয়েছি তাদের পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ দেয়ার থাকলে আমাদের কাছে এসে জমা দিতে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়াগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মন্ত্রনালয়ে জানাতে পরামর্শ দিয়েছি। এই অভিযোগ গুলো প্রাথমিক ভাবে আমাদের কাজ করার জন্য না।
অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদারও বটে। দৌলতপুর কলেজে পড়ালেখায় বেশি টাকা খরচের কথা এ অঞ্চলে বেশ প্রচলিতস অভিযোগ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।
উল্লেখ্য: এর আগে ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলেজের ভূগোল বিষয়ে প্রদর্শক জহুরুল আলমের দিকে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগও রয়েছে অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান খান সুমনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জহুরুল আলম একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন দৌলতপুর থানায় (জিডি নাম্বার ৩৭৪)।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha