আজকের তারিখ : এপ্রিল ২১, ২০২৫, ৯:৪২ এ.এম || প্রকাশকাল : মে ১৪, ২০২৪, ১০:৪৭ এ.এম
চরকিং মাজেদীয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ৩২ জনের মধ্যে ৯ জন পাশ

২০২৪ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। নোয়াখালী বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলাতে সব কয়টি মাদ্রাসা ও হাই স্কুলের ফলফল সন্তোষজনক ও মান সম্মত থাকলেও একমাত্র খাসেরহাট মাজেদীয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছে।এতে ফেল করা ছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষার ফলাফল বিবরণীতে দেখা যায়, অত্র মাদ্রাসাতে ৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কেবলমাত্র ৯জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। বাকী ২৩জন ছাত্রী ফেল করেছে। ফলাফল বিপর্যয়ে অভিভাবক মহলে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। একই ভাবে এ মাদ্রাসার পড়াশোনার মান ও শিক্ষকদের দায় দায়িত্ব নিয়েও নানা রকমের প্রশ্ন উঠছে।
পরীক্ষায় অকৃতকার্যকর এক ছাত্রীর অভিভাবক আরিফুল ইসলাম জানান, অত্র মাদ্রাসাটি আমাদের এলাকায় হওয়ায় মেয়েদেরকে সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধার্থে আমরা এখানে পড়ালেখার জন্য দিয়েছি। কিন্তু এখানে পড়ালেখার মান যে এত নিম্মমানের তা জানা ছিলনা। এখানে প্রতিষ্ঠান প্রধানের যথাযথ দায়িত্ব পালনে অবহেলা রয়েছে। অধিকন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের পাঠদানে চরম উদাসীনতা ও আন্তরিকতার অভাব অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আল আমিন ফলাফল বিপর্যয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই মাদ্রাসাতে নন কোয়ালিফাইড গেষ্ট টিচার দিয়ে ক্লাশ করানো, সুপার ও সহকারি সুপার ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকা সহ আধুনিক পাঠদান কার্যক্রম থেকে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার আবু জাফর মো. ইকবাল বলেন, গণিতের পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের ১০ মিনিট বিলম্বে অবজেক্টিভ পেপার সরবরাহ করায় যথাযথ ভাবে মেয়েরা তা উত্তরপত্র সম্পন্ন করতে পারেনি। যেকারণে বেশীর ভাগ মেয়েদের ফল খারাপ হয়েছে। শ্রেণি শিক্ষা পাঠদান কার্যক্রমে অনিয়মের অভিভাবকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে সুপার জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে আমাদেরকে জোড়াতালি দিয়ে অনেকদিন থেকে ক্লাশগুলো চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha