কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১১ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মন্টু মালিথা (৫৫) নামে এক ব্যক্তির নামে এ অভিযোগ করা হয়। শনিবার উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলা বাজারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মন্টু মালিথা একই গ্রামের মৃত আতর মালিথার ছেলে।
আজ (৬ মে) সোমবার সকালে অসুস্থ শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে শিশুটি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা মিন্নিকা আক্তার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত মন্টু মালিথা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
সোমবার থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর বেগুনবাড়িয়া গ্রামের কিপুল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (১১) তিন মাস যাবৎ মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলা বাজারপাড়া গ্রামে তার নানা দিরাজ দফাদারের বাড়িতে রয়েছে। অভিযুক্ত মন্টু মালিথা দিরাজ দফাদারের প্রতিবেশী হওয়ায় শিশু মেহেদী হাসানের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে।
এরই সূত্র ধরে গত শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে শিশু মেহেদী হাসান খেলা করার সময় তাকে ডেকে মাঠের ভিতর নিয়ে জোর পূর্বক বলৎকার করে মন্টু মালিথা। শিশুটির চিৎকার ও কান্নাকাটিতে মাঠের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নেয়। নির্যাতনের শিকার শিশুটির মুখে বলাৎকারের কথা শুনে সকলে হতবাক হয় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শিশু বলাৎকারের বিষয়ে মরিচা ইউনিয়নের সদস্য মনোয়ারা খাতুন বলেন, ১১ বছরের শিশুকে মন্টু মালিথা বলাৎকার করেছে এমন কথা শুনেছি, এর আগেও মন্টু মালিথা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাও লোকমুখে শুনেছি। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য মন্টু মালিথাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশু বলাৎকার হয়েছে এমন অভিযোগ দিয়েছে তার মা। শিশুটি তার মায়ের সাথে আমার কাছে এসেছিল। আমি শিশুটির সাথে কথা বলেছি, তবে শিশুটি বলাৎকার হয়েছে এমন কিছু বলেনি। শুধু তার জামাকাপড় খুলেছে বলেছে শিশুটি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫