কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সান্দিয়ারা লাহিনীপাড়া সড়কের চাপড়া ইউনিয়নের চাপড়া ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত একজনের নাম মো. সবুজ (২১)। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিলপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। আরেক জনের নাম বিপ্লব হোসেন (৪২)। তিনিও একই উপজেলার বাড়াদী উত্তর পাড়া এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুইটি মোটরসাইকেলেই অতিরিক্ত গতি ছিল। সে জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাদের ভাষ্য, সবুজ পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে লাহিনীপাড়া থেকে সান্দিয়ারার দিকে যাচ্ছিলেন। আর বিপ্লব লিভো মোটরসাইকেল নিয়ে বিপরীত দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চাঁপড়া ইউনিয়নের চাপড়া ব্রিজ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুইটি মোটরসাইকেল দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় রাস্তায় ছিটকে পড়ে তাঁরা গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সবুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পথিমধ্যে বিকেল ৩টার দিকে সবুজ মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী সাজেদুল ইসলাম বলেন, দুইটি মোটরসাইকেলেই অতিরিক্ত গতি ছিল। কীভাবে যেন মুহূর্তেই তাঁদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
চাঁপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু বলেন, দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্য চিকিৎসক বিপ্লব নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সবুজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু সবুজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, ‘দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে কতজন নিহত হয়েছে তা জানা যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha