শ্রীখোল বাদ্যসহ সমবেত কণ্ঠে তিনটি রবীন্দ্রসঙ্গীত "ওরে গৃহবাসী", "ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে" আর "ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়" গানে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি অঙ্গন মুখরিত হয়ে ওঠে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল ৫টায় রথীন্দ্রমঞ্চে। উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ধীমান দাশ, সব্যসাচী হাজারা, রুমেলা মুখার্জী, জয়শ্রী দে প্রমুখ। বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. পবিত্র সরকার, ড. সুজিত বসু, শ্রী অগ্নিভ বন্দোপাধ্যায়, শ্রীমতি হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায়, রাজেশ সিনহা (স্থানীয় পৌরপিতা)। উপস্থিত সকলেই জোড়াসাঁকো পুণ্যভূমি পরিক্রমায় অংশ নেন।
বসন্ত উৎসব উদযাপনের পটভূমি বিশ্লেষণ সহ সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের প্রারম্ভিক ভাষণের মধ্য দিয়ে মঞ্চ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বগণ একে একে এই বসন্ত উৎসবের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখেন এবং সোসাইটি আয়োজিত বসন্ত উৎসব উদযাপনের ভাবময়তা এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এরপর সমবেত সঙ্গীত, নৃত্য ও সমবেত আবৃত্তি সহযোগে বিভিন্ন পরিবেশনায় ছিলেন সৃজনী (রামকৃষ্ণ সারদা মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন), ভবন'স জি.কে.বিদ্যামন্দির, স্যার রমেশ মিত্র বালিকা বিদ্যালয় (উ:মা:), চারুকেশী, ছন্দনীড়, আনন্দলোক, আনন্দবিতান সংস্থা।
উপস্থাপনা গুণে প্রতিটি পরিবেশনা হয়ে ওঠে আনন্দপূর্ণ এবং মনোজ্ঞ। রথীন্দ্রমঞ্চের বাইরে দালানে অসামান্য দক্ষতায় ক্যানভাসে আবির- রঙে বসন্ত বন্দনা ফুটিয়ে তুলে সকলের মন জয় করে নেন চার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী দীপঙ্কর সমাদ্দার, সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, কৌশিক মজুমদার ও অমিতাভ গুপ্ত।
রথীন্দ্রমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন লাইলী মুখার্জী।