স্থানীয় কৃষক বকুল আলী বলেন, তার পান বরজের পানের দাম প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মতো স্বপ্ন দেখেছিলাম এবার চৈত্র মাসে পান বিক্রি করে ১ টি পাকা বাড়ি তৈরি করবো বলেও আশা ছিলো। আমার সে স্বপ্ন আজ পুড়ে ছাই হয়ে গেল। এমনি ভাবে আহাজারি করছিলেন সুমন, রহিমদ্দিন, স্বপন, তৌহিদ, নাজমুল এর মতো শত শত মানুষ।
কৃষকের পাশাপাশি স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ, কেউ খোঁজে তার সন্তান কে, কেউ স্বামী কে। আবার স্বামী-স্ত্রী অনেকেই বুক চাপড়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে আমার সব শেষ হয়ে গেল, এখন কি করে খাবো। আর কি দিয়ে সমিতির কিস্তি দিবো। আল্লাহ! চলার মতো আমাদের আর কিছুই থাকলো না।
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, আমরা সকাল সাড়ে ১১ টার সময় সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। কিন্তু ফাঁকা মাঠের কারণে বাতাসের গতি ছিলো অনেক বেশি। পানি মারলে সঙ্গে সঙ্গে একটা বরজে আগুন ধরে যাচ্ছে। তাই অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসে সংবাদ দিলে পরপর চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে একসঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।
তিনি বলেন, কিভাবে আগুন ধরেছে এখনো বলতে পারবো না। তবে পূর্বশত্রুতা জের ধরে আগুন ধরছে কিনা এটা আমরা খতিয়ে দেখবো।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, আগুনে পুড়ে যেসব পরিবার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকরেছেন কুষ্টিয়া- ২ (ভেড়ামারা -মিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কামারুল আরিফিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বুলবুল হাসান পিপুল, ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ।