আজকের তারিখ : মে ১৩, ২০২৫, ৪:৪২ পি.এম || প্রকাশকাল : মার্চ ৫, ২০২৪, ১০:৪৯ পি.এম
তানোরে সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদুকে অভিযোগ

রাজশাহীর তানোরের সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গত ৪ মার্চ সোমবার এলাকাবাসী ডাকযোগে স্থানীয় সাংসদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদুক) লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্যে, স্কুলের কম্পিউটার, বিজ্ঞান, পদার্থ ও রষায়ন বিষয়ে নিয়মিত ক্লাস হয় না এবং স্কুলের প্রায় ৪৫ বিঘা ফসলী জমি ও দুটি দীঘির (পুকুর) আয়-ব্যয়ের কোনো সঠিক হিসেব কমিটির সদস্যদের জানানো হয় না। এমনকি অভিভাবকগণ বা সহকারী শিক্ষকেরাও জানতে পারে না। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, আব্দুল হান্নান প্রধান শিক্ষক হবার পর থেকে কতজন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে এবং স্কুলের সম্পত্তি থেকে কত টাকা আয়, কত টাকা ব্যয় ও স্কুল তহবিলে কত টাকা জমা আছে, সরেজমিন অনুসন্ধান করা হলে অনিয়ম-দুর্নীতির নানা চিত্র উঠে আসবে। এসব বিষয়ে দুদুকের অনুসন্ধান দাবি করেছেন শিক্ষানুরাগী সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আব্দুল হান্নান এক সময় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে বিএনপিতে এসে চাকরি নিয়েছেন, এখন আবার ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের প্রায় ৪৫ বিঘা ফসলী জমি ও দুটি বড় আয়তনের পুকুর ইজারা থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ টাকা আয় হয়। কিন্ত্ত এসব টাকায় বিদ্যালয়ের কোনো উন্নয়ন না করে আবার কখানো নামমাত্র উন্নয়ন করে সিংহভাগ টাকা তছরুপ করা হচ্ছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, স্কুলের যে সম্পদ রয়েছে, সেই সম্পদের সুষ্ঠু বা সঠিক ব্যবহার করা হলে স্কুলের চিত্র পাল্টে যেতো।
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে দুদুকের তদন্ত সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী সচেতন মহলে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। তারা সরেজমিন দুদুকের অনুসন্ধান দাবি করেছেন। এছাড়াও আব্দুল হান্নানের আয়ের উৎস্য, সম্পদের পরিমান ও তিনি সরকারকে কত টাকা আয়কর দেন ইত্যাদি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিভাবক মহল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা বিদ্যালয়ের ভালো চাই না, তারাই এমন অপপ্রচার করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কারো বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha