আজ ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং আগামীকাল থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস আর পার হবেনা না যমুনা নদী, পার হবে পদ্মা। এ দুটি ট্রেনের নতুন রুট খুলনা-পোড়াদহ-কুষ্টিয়া কোর্ট-রাজবাড়ী-ফরিদপুর-পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার কমলাপুর। তাতে পথ কমবে,সময় বাঁচবে।একই সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা রেল যোগাযোগে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো।
পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরু হওয়ায় আনন্দের জোয়ারে ভাসছে সেতুর নিকটবর্তী জেলাগুলোর মানুষ।যাতায়াত ছাড়াও পণ্য পরিবহনে সরাসরি ঢাকার সাথে এরুটের ট্রেন যোগাযোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করছে মানুষ।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মেইল ট্রেনে ৮০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১০০ টাকা, শোভন চেয়ার ২৩০ টাকা, এসি চেয়ার ৪৪৩ টাকা, এসি সিট ৫২৯ টাকা এবং এসি বার্থ ৭৯৪ টাকা।
খুলনা ও বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোলের সঙ্গে যশোর হয়ে ট্রেন যোগাযোগ চালু হওয়ায় পরিবহনের অগ্রযাত্রার সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরেকটি নতুন অধ্যায়। যশোরের চেঙ্গুটিয়া থেকে নড়াইল পর্যন্ত রেলসড়কের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর থেকে বেনাপোলের সঙ্গে নড়াইল হয়ে ঢাকায় যাবে ট্রেন। সম্পূর্ণ রেলপথ নির্মাণ না হওয়ায় বিকল্প পথে অর্থ্যাৎ মাওয়া থেকে ফরিদপুর-রাজবাড়ী-পোড়াদহ হয়ে ট্রেন যাবে যশোর। বেনাপোল থেকে ঢাকা যাবে একই পথে। আপাতত পোড়াদহ হয়ে ঢাকা পৌঁছাতে সময় একটু বেশি লাগবে। তবে বেনাপোলের সঙ্গে নড়াইল হয়ে ঢাকার রেল যোগাযোগ চালু হলে বদলে যাবে বন্দরের চিত্র। তখন সময় আরও কম লাগবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে।
আজ ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ খুলনা ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। পদ্মা সেতু অতিক্রম করবে ভোর ৪টা ৭ থেকে ১৮ মিনিটে। ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। তবে মাওয়া, শ্রীনগর ও নিমতলা স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি করবে না। খুলনা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে থামবে। পরদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ভাঙ্গায় পৌঁছাবে। পরে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর হয়ে রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোর হয়ে খুলনায় যাবে।
২ নভেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করবে ‘বেনোপোল এক্সপ্রেস’। ওই দিন বেনাপোল ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের ফলে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha