ডেঙ্গুর প্রকোপে জনজীবনে বেড়েছে অস্থিরতা। এ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংকুলান হওয়ায় মেঝেতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে এ রোগে কার্যকরী পথ্য হিসেবে পরিচিত এবং প্রচন্ড গরমে মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আকাশ ছুঁয়েছে দাম । বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কয়েকটি স্পট ঘুরে একটি মাত্র স্পটে ওহিদ নামের একজন ডাব বিক্রেতাকে পাওয়া যায়। বেচা-বিক্রি প্রায় শেষ। বিক্রেতার সাথে কথা বলে যানা যায় প্রকার ভেদে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় ডাব বিক্রি করেছেন তিনি।
ডাবের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ডেঙ্গু রোগীসহ গরমে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ। তাই বিকল্প হিসেবে লেবুর শরবত কে বেছে নিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ।
বিক্রেতারা বলছেন শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে এমনিতেই ডাবের ফলন কম থাকে। এ ছাড়া বৃষ্ঠির কারণে পিচ্ছিল গাছে উঠে ডাব পাড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার জন্য বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। অন্যদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডাবের চাহিদা। সবকিছু মিলিয়েই ডাবের দামের এম ঊর্ধ্বগতি।
অন্যদিনে কয়েকজন ডাব বিক্রেতা শহরে দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার সকালে বিক্রেতাদের কাউকে চোঁখে পড়েনি। উপজেলার কালিশঙ্করপুর এলাকার চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্র ডেঙ্গুজ¦রে গত তিনদিন যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পিতা হামিদ শেখ ছেলের জন্য শহরে এসেছিলেন ডাব কিনতে। অনেক খোঁজাখুজির পর তিনি ছোট আকৃতির একটি ডাব ১৪০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।
তৃষ্ণা মেটাতে এবং দ্রুত শারীরিক শক্তি ফিরিয়ে আনতে শতাব্দীকাল থেকেই ডাবের কদর রয়েছে। তাছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তার প্রচুর পরিমানে তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে রোগীদের চাহিদার কাছে ডাবের নাম সর্বাগ্রে।
মাগুরা সদরসহ মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রকার ভেদে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ডাব। তবে অভিজ্ঞ মহল চাহিদার থেকে যোগান কম হওয়ায় ডাবের মূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ মনে করছেন। তাছাড়া আগে মফস্বল বা গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে নারকেল গাছ থাকতো যা এখন আর আগের মত চোঁখে পড়েনা। যে কারণে ক্রমাগত কমে যাচ্ছে ডাবের যোগান। তাছাড়া শহরে পৌঁছতে একাধিক হাত বদলে ডাবের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোকছেদুল মোমিন বলেন, ডাবে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, আয়রনসহ নানাবিধ পুষ্ঠিগুন যা ডেঙ্গু জ¦রের ক্ষেত্রে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এবং রোগীর দুর্বলতা দুর করে। এ কারনে তরল খাবারের মধ্যে রোগীদের ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে বিকল্প হিসেবে লেবুর জল ও খাবার স্যালাইন আহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha