আজকের তারিখ : নভেম্বর ২৮, ২০২৪, ১২:৪৯ পি.এম || প্রকাশকাল : অগাস্ট ১০, ২০২৩, ৪:৫৯ পি.এম
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ৮ শিক্ষার্থী
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অনশনরত ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আট জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তারা গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।শিক্ষার্থীরা জানান, সারা রাত অনশন করায় সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করেন এবং দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এর আগে শিক্ষক সংকট নিরসণের দাবিতে বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে উপাচার্যর বাসভবন, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে উপাচার্যর বাসভবনের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ফিন্যান্স বিভাগে বর্তমানে পাঁচটি ব্যাচে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র দু’জন। ফলে ক্লাস-পরীক্ষা মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একাধিকবার অবগত করার পরও সংকট নিরসণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়েই তারা গত সোমবার (৭ আগস্ট) আন্দোলন শুরু করেন।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজ বলেন, বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে আমাদের অনেক কোর্সের ক্লাস ঠিকমত হচ্ছে না। একই শিক্ষাবর্ষের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের তুলনায় আমরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছি। আমাদের জীবন নিয়ে এভাবে খেলা করার অধিকার প্রশাসনের নেই। বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা না করা হয় তবে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
উপাচার্যের আশ্বাস অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাসরি শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ না করা হলেও বৃহস্পতিবার গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান সাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে অনিবার্য কারণবশত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে। তবে প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সাথে একত্রে আন্দোলন করার যে কথা দিয়েছিলেন তার অংশ হিসেবেই মূলত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।শিক্ষক সংকট নিরসণের বিষয়ে উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে টাকা-পয়সা কিংবা ভালো খাবার চাচ্ছে না, তারা চাচ্ছে শিক্ষক। ভালো শিক্ষার পরিবেশ।
এটাতো শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের মৌলিক অধিকার। অথচ তাদের সেটুকুই দিতে পারছি না। এটি উপাচার্য হিসেবে আমার জন্য অত্যন্ত কষ্টের। শিক্ষকের জন্য আমি অসংখ্যবার ইউজিসিতে গিয়েছি। কিন্তু তারা দিব দিব করে দেয়নি। শেষপর্যন্ত তাই শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষকের জন্য আবেদন করেছে। ২-৪ দিনের মধ্যেই তাদের শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সমস্যা হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম-নীতির অভাব রয়েছে। সাধারণত ২০-২৫% শতাংশ শিক্ষকদের শিক্ষাছুটি দেওয়া হয়, কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেছে এক বিভাগে শিক্ষক ৬ জন তারা ৪ জনকেই শিক্ষাছুটি দিয়েছে। এ কারণে এখানে বাড়তি সংকট তৈরি হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha