আজকের তারিখ : এপ্রিল ২১, ২০২৫, ৩:৩২ এ.এম || প্রকাশকাল : জুন ২০, ২০২৩, ২:২৭ পি.এম
নাগেশ্বরীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় ৫০,০০০ গরু

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কোরবানির ঈদকে ঘিরে জমে উঠেছে গরু-ছাগল বেচাকেনা। হাটে উঠতে শুরু করেছে বাহারি রং ও নামের হৃষ্টপুষ্ট বহু জাতের গরু-ছাগল। এদিকে গরুকে কোরবানিযোগ্য করতে পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা।
এ উপজেলায় পৌরসভাসহ ১৫টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের বাড়িতে ২-৪টি করে ষাঁড়, বলদ কিংবা গাভী ও ছাগল পালন করে হৃষ্টপুষ্ট করা হয়। এসব গরু-ছাগল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার পশুর হাটে বিক্রি হয়। কোরবানি ঘিরে গরু লালন-পালন করে এ উপজেলার দুধকুমার নদীবেষ্টিত ৫টি ইউনিয়নের চর এলাকা ছাড়াও অন্য ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায়ের খামারিরাও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ উপজেলায় সাধারণ কৃষকের পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটাতাজাকরণে এ উপজেলায় ১১ হাজার ৮৩৪ জন খামারি রয়েছে।
এ বছর কোরবানির জন্য ৩৮ হাজার ১৫১টি গরুর চাহিদা থাকলেও তা অতিক্রম করে প্রস্তুত রয়েছে ৪৯ হাজার ৭৩৮টি গরু। সরজমিন জানা গেছে, এ উপজেলার সবচেয়ে বড় খামারি স্থানীয় ঠিকাদার হারিসুল বারী রনির আরশী এগ্রো ফার্ম। এ খামারে ষাঁড়সহ শতাধিক গরু রয়েছে। তবে এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন ৮০টি গরু। যেগুলোর প্রত্যেকটির ওজন আড়াইশ’ কেজি থেকে শুরু করে ৭শ’ কেজি পর্যন্ত। আর এগুলোর দাম হাঁকাচ্ছেন ৩ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত। ওই খামারের একজন কর্মী জানায়, তাদের খামারে সাকিব খান নামের একটি ষাঁড় আছে। যেটির ওজন প্রায় ৭শ’ কেজি। এই সাকিব খানের দাম দিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে ডিপজল, ফাটাকেষ্ট, কালা মানিকসহ বাহারি নামের গরু। এগুলোর ওজনের উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন তারা।
আরশী এগ্রো ফার্মের উদ্যোক্তা হারিসুল বারী রনি জানায়, তিনি একেবারেই অর্গানিক পদ্ধতিতে, সাইলেস পদ্ধতিতে দেশীয় সুস্বাদু খাবার খাইয়ে এই গরুগুলোকে এক বছর ধরে লালন-পালন করে কোরবানিযোগ্য করে তুলেছেন। নিজস্ব ডাক্তারের মাধ্যমে এগুলোকে চিকিৎসা দিয়ে রোগমুক্ত রেখেছেন। যাতে করে কোরবানির ঈদে মানুষ একদম সুষম ও ভেজালমুক্ত মাংস খেতে পারে। উপজেলার বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, প্রান্তিক খামারিরা দেশীয় ঘাস লাতাপাতার মাধ্যমে গরুকে মোটাতাজা করেছেন।
এ ছাড়া হাসনাবাদ ইউনিয়ন, নেওয়াশী ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ ইউনিয়ন কালীগঞ্জ ইউনিয়নে ছোট ছোট অনেক খামারী আছে । প্রতি বছর এ সব খামারীরা ১০-১৫টি গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম বলেন, খামারগুলোতে গরুকে অবৈধ ওষুধ বা কীটনাশক প্রয়োগ ও গো-খাদ্যে ভেজাল ঠেকাতে আমাদের মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha