আজকের তারিখ : নভেম্বর ২২, ২০২৪, ২:১৫ এ.এম || প্রকাশকাল : জুন ১৭, ২০২৩, ৬:৫৫ পি.এম
বৃষ্টির পরে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকের
কুড়িগ্রামেে নাগেশ্বরীতে বৃষ্টির পরে ব্যাস্ততা বেড়েছে কৃষকের। প্রস্তুতি নিচ্ছেন আসন্ন রোপা আমন মৌসুমের। চাড়া উৎপাদনে হাল-চাষ-মইয়ে তৈরি করছেন বীজতলা।
টানা তাপদাহের পর গত শুক্রবার দেখা মেলে স্বস্থির বৃষ্টির। তারপর থেমে থেমে দুই-এক পসলা বৃষ্টি হলে কিছুটা পানি জমে খাল-বিল, নদী-নালা, জলাশয় ও অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে। যেহেতু উচু এবং উর্বর জমিতে রোপা আমন বীজতলা তৈরি করতে হয়, সেখানে পানি না জমায় পিছিয়ে যায় এর কাজ। বাড়ে বৃষ্টির অপেক্ষা।
এরপর শেষ জৈষ্ঠ্যে বুধবার রাতে মুষলধারে বৃষ্টি হলে পরদিন আষাড়ের প্রথম দিন বৃহপতিবার সকালে এর অবসান ঘটে কৃষকের। ফের পানি শুকিয়ে যাওয়ার আগে তারা ব্যাস্ত হয়ে পড়ে তার সদ ব্যাবহারে। যেখানে বন্যার পানি উঠার সম্ভাবনা নেই সেখানে উচু জমিতে বীজতলা তৈরিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
ভাল ফলন পেতে ভাল চারার বিকল্প নেই। তেমনি ভাল চারা পেতে ভাল বীজের বিকল্প নেই। এটি মাথায় রেখে এ উপজেলার আমন চাষীরা বীজতলা তৈরি ও বীজ বপনে অনেক বেশি যত্নশীল। উঁচু এবং পরিমিত ও মধ্যম উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরিতে কোন সার ব্যবহার করতে না হলেও নিম্ন, অতি নিম্ন ও অনুর্বর মাটির ক্ষেত্রে সার প্রয়োগ করতে হয়। তাই যারা নিম্ন, অতি নিম্ন ও অনুর্বর জমিতে বীজতলা তৈরি করছেন তারা সেখানে গোবর অথবা খামারজাত সার প্রয়োগ করছেন।
হাসনাবাদ ইউনিয়নে কয়েকজন কৃষক তৈরি করছেন রোপা আমন বীজতলা।
একই চিত্র উপজেলার সর্বত্রই। তারা জানান উপযোগি জমিতে রোপা আমন বীজতলা তৈরি করে সেখানেই বুনছেন বাছাই করা ধানবীজ।
হাসনাবাদ ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আক্তার জামিল জানান, এবারে ১১ শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন বীজতলা তৈরির লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ শতাংশ সম্পুর্ন হয়েছে। বাকীগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া এবারে উপজেলায় ১৬শত জন কৃষককে রোপা আমন ধানবীজ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha