আজকের তারিখ : জুলাই ২৯, ২০২৫, ৩:০৮ পি.এম || প্রকাশকাল : মে ২৩, ২০২৩, ৬:৩০ পি.এম
মাগুরার বিনোদপুরে গরুর খামারের নির্গত বর্জ্যে পরিবেশ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামে গরুর খামার থেকে নির্গত বর্জ্যে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর দাবি স্থানীয় জিয়াউল হক সরদার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে আবাসিক এলাকার ভিতর বৃহৎ আকারের একটি গরুর খামার স্থাপন করেন। যেখানে বর্তমানে শতাধিক গরু রয়েছে। খামারের সৃষ্ট বর্জ্য ও নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে বিনষ্ট হচ্ছে এলাকার পুকুরের পানি, মাছ ও কৃষি জমি। তীব্র দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঐ গরুর খামারে শতাধিক গরু পালন করা হয় কিন্তু গরুর খামার থেকে নির্গত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো আধুনিক পদ্ধতি বা শোধনাগার ব্যবহার করা হয়নি।
ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম সরদারের অভিযোগ, আমাদের জমি দখলসহ খামার থেকে নির্গত বর্জ্য আমাদের পুকুর ও জমিতে ফেলায়, মাছ এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। জিয়াউল হক সরদারকে বললে তিনি আমাদের উপর প্রভাব খাটিয়ে নানা রকম ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আমি মাগুরা জেলা প্রশাসক বরাবর এবং যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
স্থানীয় বর্গা চাষী চান আলী জানান,খামারের নিকটবর্তী ১০০ শতক জমি চাষাবাদ করি। সম্প্রতি খামার থেকে নির্গত চুনা-গোবর আমার চাষকৃত জমিতে ফেলার কারণে এখন এখানে কোন ফসল উৎপাদন হয় না। ফলে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে খুবই অসহায় ভাবে দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছি। খামার থেকে নিষ্কাশিত চুনা-গোবর চাষের জমিতে যাওয়ার ফলে জমিতে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাস সৃষ্টি হয়ে জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত জিয়াউল হক সরদার বলেন, প্রতিবেশীর জমির উপর দিয়ে খামারের যে বর্জ্য যাচ্ছে সেটা আমাদের জায়গার মাটির নিচ দিয়ে পাইপ বসিয়ে নিজেদের জায়গায় নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয় সাংবাদিকদের মুঠোফোনে ২৩ মে বিকালে মাগুরা জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ বলেন, স্থানীয় লোকজনের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫
Copyright © August 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha