গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) তে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অবৈধ সম্পর্কের বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ প্রদানের ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একাধিক শিক্ষার্থী উপাচার্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোঃ হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মার্ক টেম্পারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনে। এ সময় শিক্ষার্থীরা সুমাইয়া আফনান নাহিন নামের এক মেয়ের মার্ক টেম্পারিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে এই বিষয়ে লিখিতভাবে প্রতিবাদলিপি দেয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী।
অপরদিকে ৮ মে সোমবার সুমাইয়া আফনান নাহিন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ আবু সালেহ'র বিরুদ্ধে মার্ক টেম্পারিংয়ের লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। এ অভিযোগে ড. সালেহ'র বিরুদ্ধে ফাতেমা নামক এক ছাত্রীকে অবৈধ সম্পর্কের বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার কথাও উল্লেখ আছে।
ছাত্রী শিক্ষকদের এসকল অনৈতিক অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ঘটনা নিয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করার পর ট্রল ও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ায় ভার্সিটি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন হিসেবে উপাচার্যসহ বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ সম্পর্কে আমরা তথ্য সংগ্রহ করে প্রকাশ করি। এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া ও দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিষয়ে আমরা নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করি।
দুই শিক্ষকের নীতি নৈতিকতার এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের মধ্যে দফায় দফায় মিটিং হলেও এখন পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। পাল্টাপাল্টি অভিযোগে অভিযুক্ত একই বিভাগের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ হাসিবুর রহমান ও ড. মোঃ আবু সালেহ তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ আবু সালেহ বলেন, নাহিনকে এ প্লাস দিতে আমাকে বারবার চাপ প্রয়োগ করেছেন ড. হাসিব। তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ দিয়েছে, তাদেরকে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত করলেই সব রহস্য বেরিয়ে আসবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. হাসিবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মনগড়া। আমার প্রতিপক্ষরা তাদের নিজস্ব কিছু শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫