মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ৬টি ইটভাটাকে উচ্ছেদ ও একটি ভাটার মালিককে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সোমবার ১৯ ডিসেম্বর দিন ভর এ অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগন। মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬ টি ড্রাম চিমনি ইটভাটা সম্পূর্ণ ধ্বংস করেন ও একটি জিগজ্যাগ ইটভাটাকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়। মোবাইল কোর্টটি পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শাহীনা সুলতানা।
এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব সাঈদ আনোয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব হারুন অর রশীদ সহ অত্র কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মেসার্স বিসিভি ব্রিকস, ঠাকুরের হাট, বাবুখালী, মহম্মদপুর মাগুরা, মেসার্স জেডপিএমবি ব্রিকস, বাসো বাবুখালী মেসার্স এরএমবি ব্রিকস, ঘোষপুর বালিদিয়া মেসার্স কেএবি ব্রিকস, নহাটা পরমেশ্বরপুর, মেসার্স খান ব্রিকস, বানিয়াবহু, বিনোদপুর এএমবি ব্রিকস, ঝগড়দিয়া রাজাপুর, নামক ড্রাম চিমনি বিশিষ্ট ইটভাটা গুলোকে ভেঙ্গে গুড়িয়া দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মেসার্স নাজ ব্রিকস, ধোয়াইল বাজার নামক জিগজ্যাগ ইটভাটা নিষিদ্ধ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় তথা ইটভাটা কর্তৃক ইটপ্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ৮(১) ধারা ও ৮(৩) ধারা লঙ্ঘন করায় ৫০০,০০০/- (পাচ লক্ষ টাকা) জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।
ভাটার মলিকগণ হলেন, মহম্মদপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃবরকত আলী, বলিদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান পান্নু মিয়া, ঝগড়দিয়ার আনোয়ার, বিনোপুরের সামাদ, বড়বিয়া গ্রামের জিল্লাল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নাগড়া গ্রামের মিজানুর রহমান মিনজু। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনা সুলতানা বলেন, বায়ুদূষণ রোধে আমাদের কার্যালয় কর্তৃক আজকের এ অভিযান পরিচালনা করা হলো পরিবেশ দূষণ রোধে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।