কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নবজাতক ইউনিটে এক শিশুকে রেখে উধাও হয়ে গেছে মা।
ঐ শিশুটি বর্তমানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে শিশুটি এখন ও সুস্থ রয়েছে। তাকে হাসপাতালের ইস্কেনো ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে রিনি নামে এক নারী গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ওই দিনই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। শিশুটি অসুস্থ থাকায় নবজাতক ইউনিটে নেয়া হয়। মা ও শিশু দুজন দুই ওয়ার্ডে থাকায় মায়ের অবস্থান সম্পর্কে কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তাররা মায়ের খোঁজ করলে পরে ওই শিশুর মাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। তখন বিষয়টি জানাজানি হয়।
নাম-প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, রিনি ভর্তির সময় তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউপির কবুরহাট এলাকা। স্বামীর নাম ওই ঠিকানায় দেওয়া হয়েছে মোমিন। ঠিকানাটি সঠিক নয় বলে জানতে পেরেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রিনি এক প্রবাসীর স্ত্রী। তিনি লোক লজ্জার ভয়ে এমন কান্ড ঘটিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,ওই শিশুটি এখন সুস্থ রয়েছে। তাকে হাসপাতালের ইস্কেনো ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারায় বিষয়টি দেখছেন।
খোঁজনিয়ে আরো জানা যায়,কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রী স্বপ্না রানী (ছদ্মনাম) রিনী নাম দেয়।
পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়,স্বপ্না রানী ছদ্মনাম রিনী’র বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া বাজার এলাকা। তার স্বামীর বাড়ি একই উপজেলার কবুরহাট মিয়াপাড়া এলাকায়। তাদেও ঘরে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
স্বপ্না রানী ওরফে রিনী’র ননদ শিরিন সুলতানা বলেন, আমার ভাই প্রায় ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকে। কয়েক বছর পরপর গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসে। গত দুই বছরের মধ্যে আমার ভাই বাড়িতে বা বাংলাদেশে আসেনি। তার দুটি সন্তান আছে। এরপরও আমার ভাবি অন্য পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া করে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মাকে নিয়ে আমার ভাবি ও তার দুই সন্তান ভাইয়ের বাড়িতে থাকেন। বুধবার সকালে আমাদের বলে যে, তার পেটে ব্যথা করছে, গ্যাস হয়েছে। এরপর সে তার মাকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। আজ আমরা জানতে পারি যে, তার পেটে বাচ্চা ছিল, সে বাচ্চা জন্ম দিযেছে। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। আমরা এর বিচার চাই। সে পরকীয়া সম্পর্ক করেছে এবং সন্তান জন্ম দিয়েছে।
এ বিষযে স্বপ্না রানী ওরফে রিনীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুনঃ সড়কে প্রান হারালেন বীর মুক্তিযোদ্ধাঃ নিরাপদ নয় সড়ক
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খানের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন ঘটনাটি শুনেছি এবং ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।