ফরিদপুর জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং আজ বেলা ১১ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান পিপিএম ।
ফরিদপুর জেলা বোয়ালমারী থানা পুলিশ কর্তৃক ২৫(পঁচিশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার ও দুজন আসামি গ্রেফতার সংক্রান্ত এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত । এ সময় ফরিদপুরের কর্মরত প্রিন্ট ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়।
এসআই (নিঃ)/মামুন ইসলাম, সঙ্গীয় এসআই/ উত্তম কুমার সেন, কং/১১৪৫ আখতার হোসাইন, সর্ব কর্মস্থল বোয়ালমারী থানা, ফরিদপুর সহ ধৃত আসামী ১। জুয়েল খান (৩৬), পিতা-মৃত সাত্তার খান, সাং-লাহিড়ী মনপুর, থানা- উল্লাপাড়া, জেলা-সিরাজগঞ্জ বর্তমানে সাং-বিশ্বাসপুর, চতুল, আক্তার মোল্যার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুর, শ্বশুর বাড়ীর ঠিকানা- স্ত্রী-কাকলী বেগম, শ্বশুর-মজিবর শেখ, সাং-বারখাদিয়া, থানা-সালথা, জেলা-ফরিপুর এবং ২। আব্দুল কুদ্দুস (২৩), পিতা-বাবুল শেখ, মাতা-মর্জিনা বেগম, সাং-পোয়াইল বিশ্বাসপুর, থানা-বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুরদ্বয়ের নিকট হইতে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা (ক্যানাবিস) মোট (১৫+১০)=২৫ (পঁচিশ কেজি), মূল্য অনুমান ৩,৭৫,০০০/- (তিন লক্ষ পচাত্তর হাজার টাকা) ও পলাতক আসামী ৩। নিজাম ফকির প্রকাশ নিজাম (৩২), পিতা-মোফাজ্জেল ফকির প্রকাশ মফজেল ফকির, সাং-পোয়াইল, থানা-বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুরগণদের বিরুদ্ধে থানায় হাজির হয়ে এ মর্মে এজাহার দাখিল করেন যে, বোয়ালমারী থানার সাধারণ ডায়রী নং-৪০২, তাং-০৮/০৯/২০২২ খ্রিঃ মূলে থানা এলাকায় রাত্রিকালীন বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাদী জানতে পারেন যে, বোয়ালমারী থানাধীন চতুল ইউপিস্থ পোয়াইল বিশ্বাসপুর সাকিনে শুকুর মিয়ার ইটের ভাটার পশ্চিম পাশে জনৈক আক্তার মোল্যার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে কাঁচা রাস্তার উপর কে বা কারা মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করতেছে।
উক্ত সংবাদটি অফিসার ইনচার্জ সাহেবকে অবহিত করে সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে বাদী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ দ্রুত ০৮/০৯/২০২২ খ্রিঃ রাত অনুমা ২২.৫৫ ঘটিকায় উক্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামীগণ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স এর সহায়তায় আসামীদ্বয়কে ধৃত করেন এবং অপর আসামী নিজাম ফকির (৩২), পালিয়ে যায়। ১নং আসামী জুয়েল খান (৩৬) এর নিকট থেকে একটি হলুদ রংয়ের বস্তার মধ্যে বাদামী বর্ণের কস্টেপ দ্বারা মোড়ানো অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা (ক্যানাবিস) গাঁজার ০৫টি প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেটে রক্ষিত মোট গাঁজা, ওজন-(৪+৪.১০০+৪.১০০+১+১.৮০০)=১৫ কেজি এবং ০২নং আসামী আব্দুল কুদ্দুস (২৩) এর নিকট থেকে (ক)। একটি হলুদ রংয়ের বস্তার মধ্যে বাদামী বর্ণের কস্টেপ দ্বারা মোড়ানো অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা (ক্যানাবিস) গাঁজার ০৩ টি প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেটে রক্ষিত মোট গাঁজা, ওজন-(৪+৪+২)=১০ কেজি, (খ)। গাঁজা বিক্রয়লব্ধ মোট-১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, (গ)। একটি কালার গোলাপী এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, আসামীদ্বয় নিজ নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে, সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ০৮/০৯/২০২২ খ্রিঃ ২৩.১০ ঘটিকার সময় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায় তারা দীর্ঘদিন যাবত পোয়াইল এলাকা সহ আশ পাশ এলাকায় মাদকদ্রব্য তথা গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। পলাতক আসামী নিজাম ফকির প্রকাশ নিজাম অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়ের মূল হোতা এবং অর্থের মূল যোগানদাতা। সে কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা এনে অত্র বোয়ালমারী থানা এলাকায় পাইকারী দরে বিক্রি করে মর্মে জানা যায়। আসামীগণ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী।
তারা বোয়ালমারী থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্য ভাবে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয় করে বলে জনশ্রুতি আছে। এ সংক্রান্তে বোয়ালমারী থানা মামলা নং-১১, তাং-০৯/০৯/২০২২ খ্রিঃ, ধারাঃ-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারণীর ১৯(গ)/৪০ রুজু হয়। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।