মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়নের মদনমোহনপুর গ্রামে গত দুই বছর পূর্বে ক্রয়কৃত জমি নিয়ে মাঠেই উভয় পক্ষের রক্তক্ষয়ী মারামারি আহত কয়েকজন কৃষক। শুক্রবার ১৯ আগস্ট দুপুর ১২ টার সময় মহম্মদপুর উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০ ও ২১ নম্বর বেডে আবজাল মোল্যা (৫০) ও গোলাম মোস্তফা কে মারাত্মক ভাবে জখম প্রাপ্ত অবস্থায় দেখা যায়।
মহম্মদপুর থানায় গত ১৮ আগস্ট তারিখের অভিযোগ পত্রর মাধ্যমে জানা যায়, আবজাল মোল্যা পিং- মৃত আব্দুর সাত্তার মোল্যা গত দুই বছর ২০২০ সাল পূর্বে ক্রয়কৃত তফশিল ভুক্ত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসিতেছে। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট অনুমান সকাল ৭.৩০ টার সময় আবজাল মোল্যা ও গোলাম মোস্তফা মন্ডল জমিতে স্যালো মেশিন দিয়ে পানি দেওয়ার সময়, গোলাম রসুল (৫০), জুয়েল (৩৫) পিং- মৃত ইব্রাহিম মোল্যা, তৌফিক (২৫) পিং- গোলাম রসুল তিনজন জমিতে প্রবেশ করেই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।
উস্কানীদাতা বাবলু মোল্যা পিং- ইব্রাহিম হঠাৎ করে এসেই হুকুম দিয়ে বলে, সালাদের খুন করে ফেল। এরপর গোলাম রসুলের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র কাচি/ছোলদা দিয়ে আবজাল মোল্যার মাথার মাঝখানে, ডান হাতের শাহাদাৎ আঙ্গুলে খুন করার উদ্দেশ্য কোপ বসিয়ে দেয়।
এরপর জুয়েলের হাতে থাকা কাচি/ছোল দা দিয়ে ডান হাতে কোপ মেরে রক্তাত করে আবজাল মোল্যাকে। তৌফিক কোপ বসিয়ে দেয় মোস্তাফার মাথায় এই কোপে মোস্তাফার মাথায় আঘাত লেগে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। গোলাম রসুলের দলের লোকজন আবজালদের উক্ত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে উক্ত জমিতে না আসার হুমকি দেয় এবং পরবর্তীতে জমিতে আসিলে তাদেরকে খুন করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এরপর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সালাম (৬৫) পিং- মৃত আইজদ্দিন মোল্লা, শামীম (৩০) পিং- সালাম উভয় সাং- মদনমোহনপুর তারা দেখে গোলাম রসুলের দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে। সালাম ও শামীম দ্রুত আবজাল ও মোস্তফা কে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার এ বিষয়ে আবজাল মোল্লা দৈনিক সমাজের কথা কে বলেন, জহুরন নেছার ওয়ারিশকৃত ছেলে ও মেয়ের কাছে থেকে ২০২০ সালে জমি ক্রয় করে রেজিষ্ট্রেশন দলিল করি।
কিন্তু জমি ক্রয় করার পর পর গোলাম রসুল এলাকার লোকজনের সাথে হাত মিলিয়ে আমার ক্রয় কৃত জমিতে দখল নিতে বাধা দেয়। এজন্য গত মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট জমিতে পানি দিতে গেলে তারা আমাদের উপর খুন করার উদ্দেশ্য হামলা করে। এ বিষয়ে জুয়েলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বড় ভাই গোলাম রসুল সব জানে, আর জমি আমাদের। দেশীয় অস্ত্রের বিষয়ে বলেন, আমাদের হাতে কোন অস্ত্র ছিলো না।